কালো ঘোড়ার যুদ্ধ জয়ে গ্যালারী উল্লাসে ফেটে পড়ল।
কিন্তু তখনো নাটকের চূড়ান্ত পর্যায় বাকি ছিল।
হঠাৎ সারা গ্যালারীর মানুষ হতবাক নিস্তব্ধ
মনে হচ্ছে কেউ কোথাও নেই,সব শুনশান...
এ যেন এক মধ্যরাতের বধ্যভুমির ইতিকথার কথা।
ঘোড়াটা পিছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছে সটান ;
সওয়ার ভীষণ তেজী সে কষে ধরে লাগাম টানটান।
পশুতে মানুষে চলে মুখোমুখি বাঁচাবার লড়াই।
এরপর যেটা ঘটে সেটা কেউ কক্ষনো ভাবেনি।
দুর্লভ এক ঝটকায় সওয়ার লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।
হাড়গোড় ভাঙ্গার শব্দ যেন উৎপাটিত মহিরুহ।
আত্মরক্ষা মানরক্ষা বাঁচা মরার হাজার প্রশ্ন?
সামনের পা দিয়ে চলে সমানে তার লাথি
আত্মরক্ষার অবকাশ রাখেনা সে, তবু মানুষ ও লড়ে;
এক সময় ঝলকে ঝলকে রক্ত,সওয়ার হয় নিস্তেজ।
যুদ্ধে জয়ী বীর শুন্যে দুপা তুলে করে জয় ঘোষণা ।
প্রবল ধ্বনিতে আসে পাশের কাকেরা উচ্চকিত ।
যেন দীর্ঘদিনের পর শৃঙ্খল মুক্ত এক নতুন সকাল
চির আকাঙ্খিত স্বাধীনতা পেয়ে সে হেঁটে আসছে।
আমার দিকে। চলকে পড়া সূর্য দীপ্ত চামর কেশর
হাওয়ায় দোলে । চোখে নেই লেলিহান আগুন ঝরা;
বদলে দেখি সবুজ ঘেরা শান্ত স্নিগ্ধ ঝরনা ধারা ।


এসব কি হচ্ছে ? কেন হচ্ছে ? কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা।
ঘটিত ঘটনাগুলো আমার চাওয়া পাওয়ায় নির্ভর করেনা।
কুড়িয়ে পাওয়া আংটিটা ঝলসে উঠল কেন আবার ?
মমতা মাখানো দৃষ্টি নিক্ষেপে সে বীর আমার পাশে,
খুড়ে খুড়ে অদ্ভুত আওয়াজ তুলে সে যেন বলছে
এসো আমার পিঠে সওয়ার হও ...
তোমায় নিয়ে যাব দুর দিগন্তে...
আমি সম্মোহিতের মতন হয়ে গেলাম তার সওয়ার...