দো-আঁশলা মাটি জানি উর্বর, দো-আঁশলা মন কি বলে      
মনে মুখে বিস্তর ফারাক, জীবন কি এভাবেই চলে !  
প্রাণের উপাদান মাটিতে মিশে থাকে, কি থাকে মনে    
প্রবাহমান হিংসা ! বিলুপ্তির সহায়ক মানবতা নিধনে।  


দো-আঁশলা প্রজাতিতে যোগান বাড়ে, স্বাদ সৌরভ বাদ
মন না চাইলেও গিলতেই হয়, এড়াতে অবাঞ্ছিত বিবাদ
আবোল তাবোলে বাজিয়ে ভেরী, উচ্ছিষ্ট কথার প্যাঁচে উচ্চনিনাদ      
নিজে না জেনেও অন্যকে শেখানোর তাগিদ, নিগুড় রহস্যবাদ।  


চলনে অতি সরল, মননে জটিল বাঁক, স্বার্থ শূন্য নয়    
অনর্গল মিথ্যায় ভাসে বিদ্যজন, খেতাব পায় পুরস্কৃত হয়  
বোকা জনগণ বুঝতে অক্ষম, শয়তানির এ ধারা রক্তে বয় !    
না বুঝেই অংশীদার, সম্বিত ফেরে যখন কিছুই হবার নয়।    
    
একে একে দুই হয় সব্বাই জানে, কিন্তু তিন হয় কি ভাবে
এই অঙ্ক বুঝতে গেলে প্রতিদিন পায়ের কাছে বসতে হবে
গতকালের চোর আজকে সম্মানীয়, অভ্যাস রয়ে যায় অন্তরে
সুযোগে মন নিসপিস করে, সেবার ফন্দি-ফিকির মতান্তরে !    


সোনারপুর
১৯/০৯/২০২২