স্নেহ চুকচুক নাদুস নুদুস হাঁসা চমড়ায় গড়া
অলীক ধামের নাম মাহাত্মে উপচে পড়ে ঘড়া  
কেতাব ঘেঁটে পুঁথি পড়ে জেনেছি কিছু নাম
রহস্যের ঘেরা টোপে অনেক দূরে অপকর্মের ধাম
নর্তকী আর রসমালঞ্চে সর্বকালে মৌতাতে গুলজার
সেথায় সবাই যোগী সর্বজ্ঞানী; সুন্দরীতে টান দুর্বার
সব যুগেতেই অমর এরা; লুট করে অমৃত প্রভাব
হাওয়ার আগে রথ ছুটিয়ে মর্তে আসত মেটাতে স্বভাব।  


যোগমুদ্রায় জেনে নিয়ে; কোন মুনিবর গিয়েছেন স্নানে  
অথবা অরণ্যে খাবার সংগ্রহে বা পুজোর ফুল চয়নে
ঘরে তাঁর পত্নী কি একা ! বা আছেন কোন অবস্থানে
ছদ্মবেশে দুয়ারে এসে প্রবেশ করে কুঠিরে, সারে অপকর্ম
নিরুপায় মুনি পত্নী বুঝে না পায়, কিভাবে বাঁচাবে ধর্ম।


কার্য শেষে বনপথে যথাকালে মুনিবর ফেরেন কুঠিরে
দিব্য চক্ষে মুনিবর বোঝেন কি ঘটেছে অগোচরে
ধ্যান যোগে সকল জেনে অভিশাপেই শাস্তির নিদান  
তৎকালে শাপ ব্যাতিত ছিল না অন্য কোন বিধান।


সুরলোকে গুঞ্জন, তবে ছিঃ ছিঃ হয়ত নয়
মহাজ্ঞানী গণ নিশ্চিত, কামুক মহাজ্ঞানীর নেই ভয়
কোন অবস্থাতেই অমৃতের দ্রব্যগুণ হবে না ক্ষয়।


সোনারপুর
০৬.০৯.২০১৮