১) ঘুম


ঘুমিয়ে পরার একটা সুবিধে আছে। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর; চারপাশের বদলে যাওয়া নিয়ে অনুসন্ধানরত হওয়া যায়। পড়ার টেবিল থেকে আধ খাওয়া বিস্কুট এর টুকরোটা এখন দরজার কাছে; কুচকাওয়াজে এগিয়ে চলছে। রোদটা জানলার বাইরে পেঁপে গাছটাকে জড়িয়ে চুমু খাবার উপক্রম। আমার বিছানায় আধ-চটকে যাওয়া তুমি আর ভিজে অন্তর্বাস ... এবার কি বাথরুম? নাহ ... বরঞ্চ আবার ফিরে ঘুমিয়ে পরা যাক।  


২)  শব্দখেলাপি


ধুলো জমা পুরানো ছবিতে এখন আরা ছায়া নেই
বাসনের টুংটাং নেই
হাত মোছা নেই
আমি নিজেকে সেটুকুই জানি; যেটুকু
আমাকে যাপন করেছে জীবন।
বাকিটুকু, আমাদের শব্দখেলাপি।


প্রতিদিন, মশারি টানিয়ে উন্মুক্ত হয়ে প্রবেশ করতাম অন্ধকারে। ভিজে ভিজে শীত শীত অনুভূতি নিয়ে দাড়িয়ে জ্যোৎস্না চাঁদের আলো। এক পাক ঘুরে এসে, এখন দেখি আমি ঘুমিয়ে আছি। কি ভাবে অচেনা যাপন জমে আছে কাঁচের জানালায় জল হয়ে।


৩) কবি


মাঝে মাঝে কবি ক্ষেপে যায়
খিস্তি-খাস্তা ঝাড়েন। খুক খুক কাশি নয়
বেমওকা লেফট আপার-কাট
বিলো-দ্যা-বেল্টও কিছু হতে পারে।


কবি মাঝে মাঝে ক্ষেপে গিয়ে চুলকে দেন।
স্বর্গীয় অনুভূতি পেয়ে সারমেয় মাথায় ওঠে।
কবি জিভ ভেংচে বলেন, মাইরি-
তা হলে আমারটাও চুলকে দে।