নাতিশীতোষ্ণ উষ্ণতায় বিগলিত হয়ে,
চাইলাম শরৎ প্রাতের সোনারোদের পানে।
সে, চুপিসারে আঁখির উপর প্রতিফলিত হয়ে,
কইলো ডেকে, চলো যাইনা অভিসারে।
নিরন্ন স্মৃতিকে পেছনে ফেলে রেখে
যাইনা হারিয়ে, হেমন্তের নতুন উঠোনে।
বয়ে যাকনা, দখিনা, দেবদারুর পাতায় পাতায়
আর বয়ে যাকনা, আরও বেশি করে
আমার এই শূন্য আঙিনায়।
শিউলি ঝরানো সকাল পেরিয়ে, যাবো চলে
অবিচল ভাবে, হেমন্তের সোনারং ধানের ক্ষেতে।
হেসে উঠুক সোনা রোদ্দুর, পাঁকা ধানের শীষের
ওপর। ভরুক না শিমুল, পলাশের শাখা,
আসন্ন বসন্তের নিমন্ত্রণে,
ভরা থাক সকল শাখা-পল্লব।
আবেগের ভিড়ে যাইনা হারিয়ে আবার
নতুন করে, হৃদয়ের হিরন্ময় প্রতিচ্ছবিটা সাথে নিয়ে।
হারিয়ে যাইনা কেন, পৌষের হিমেল হাওয়ার
পরশ নিয়ে, খোলা কোন প্রান্তরে, যেখানে
নেই কোন প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, প্ররোচনা।
সোনারোদটা ডেকে আবার কইলো, এসোনা
নতুন করে হারিয়ে যাই, আবির রাঙানো
কৃষ্ণচূড়ার ঝাড়ে। ভরা ফাগুনের
কোন এক অবারিত ক্ষণে।
(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)