রেশন দোকানের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে
শিক্ষাকে বেশ্যা নারীর মতো মনে হয়।
রসায়ন নিয়ে পড়েও
কালিঘাটে মানতের কথা ভাবি।
ইউ পি এস সি ফর্ম হাতে পেলাম
তিন প্রহরের বৈশাখী রোদ
আর মাধ্যমিক পাস কন্সটেবলের হাতে
জংঘায় লাঠির আঘাত উপেক্ষা করে।
মূলা পুরা বস্তার ন্যায়
এসেছি শিয়ালদার ট্রেনে।
সাতাশির শূন্য পদে
সাড়ে সাত লক্ষের ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে।
শেষে সেই নেতার দ্বারস্থ
যাকে জানি অষ্টম পাশ
জাল শংসাপত্র নিয়ে
নোমিনেশন দাখিল করেছিল।
'মিষ্টির ঠোঁঙ্গা' না বলে
দুই ফুট বাই চার ফুটের
টিনের বাক্স আনতে বলতে পারতো!
যা বাপের সমস্ত সম্পতি
বিক্রী করেও ভরবে না।
অতঃপর আজও আমি....!