পূবের আকাশ বিষণ্ণ প্রায় পাখীদের কিচিরমিচির হীন প্রভাতে
ঘন অন্ধকার রাত্রির ন্যায় কালো মেঘের আনাগোনা খুব,
এই ধরণী আজ আঁতুড়ে, নিভৃতে দিয়ে যাচ্ছে শতাব্দীর মোহ মায়া
স্রোতের নদীতে উত্তাল ঢেউ সাগর বুকের ভয়াল প্রলয় রূপ।
বিষাক্ত গরলে নীলাভ হয়েছে পশ্চিমে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
মাছের সন্ধান বুঝি ক্ষীণ হয়ে রবে অনন্ত মুহূর্তের অপেক্ষায়,
মহা বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার পরও আর কতো! মহা দুর্ভিক্ষ নিকটে
মৃত্যুকে ডেকে আনতে অনিয়মের পাল্লাটা ভারী করতে চায়।


নিয়মের আঁষটে পিষ্টে লেগে আছে হরেক কালির দাগ কালোতে
আলোর রেখা শুধু ডাকাত নামক শাসকের মাথার উপর তাজে,
প্রভাত দেখাটা যাদের রাতের স্বপ্ন, তারা কি করে বুঝবে বিষণ্ণতা
হাহাকারময় প্রভাতফেরী শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সজ্জিত আলোক সাঁজে।
গণজাগরণ বুঝি চাহিদার উল্টো পীঠ পিছন পকেটে বোতাম লাগানো
অভ্যেস তো হয়েই গেছে মানিয়ে নেওয়া নামক মনের বিরুদ্ধে চিত্র,
হয়তো বানভাসি নামক নয়তো বা অনাহারী খাদক ঋণের বোঝা ঘাড়ে
মাসের হিসেব অংকে কষে একদিনের দানে পত্রিকার পাতায় মিত্র।


বনের পশুরাও এখন লুকিয়ে থাকে, নীরবে কেঁদে নেয় আপন খেয়ালে
বিলীন হবে আর কতো নাম? প্রশ্নটা মানবের মানবতার মৃত্যু নিয়মিত,
পুতুল জীবনের মুখ বন্ধ হরহামেশাই চলে দুর্নীতির ফাঁদে ঘর হারানো
খুন ধর্ষণে পান্তা ইলিশের বৈশাখী মেলা চলে শুধু চোখ কান শিহরিত।
অভাব যাতনা নেই সুদের হিসেব বাড়ে বক্ষ ব্যাধির যন্ত্রণায় হাসপাতাল
বৈষম্যের আধিপত্য থেমে থাকে না আইলা সিডর ও সুনামির মতো,
বেঁচে থাকতে হবে এটাই বাস্তবতা, মেনে নিতে হবে সব অন্ধকার ভীতি
বিলীন হয়েও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অপেক্ষা ক্লান্তিহীন বৃষ্টি অবিরত।