ভেবেছিলাম কফির চারা লাগালেই কফি হয়,
কিন্তু ব্যাপারটা দেখছি ঠিক ততটা সহজ নয়।
এক কাপ কফির জন্যে ব্যয় হয় অনেকটা সময়,
তার সাথে কিছু মানুষ ও মেশিনের অবদানও রয়।
কফি গাছ থেকে লাল কফি-চেরী বেছে তোলা চাই,
তারপর মেশিনে পাথরের মতো শক্ত ফল ছিলাই।
তা আবার তিন দিন ভালো করে রোদে  শুকানো চাই,
এরপরে চলে ঝাড়াই, পাতলা খোসা ফেলে বাছাই ।
সময় নিয়ে শুকনো কফি বীন রোস্ট করা, ধৈর্য চাই,
বাকি থাকে শুধু ভাজা কালো বীন গুঁড়ো করাটাই,
ভালো কফির দাম চায়ের চেয়ে একটু বেশি হয় তাই।
বহু যুগ আগেই কফি খাওয়ার শুরু হয় প্রচলন,
বিশেষ করে শীতের দিনে কফি চায় সকলের মন।
আজকাল প্যাকেটের স্যাচেটেতে মাত্র দুটাকায়,
এককাপ বানাবার মতো কফি কিনতে পাওয়া যায়।
দুধ, চিনি, জ্বালানী মিলে কত আর দাম হয় হিসেবে !
খুব একটা বেশি নয় বোধহয়, কথাটা বলছি ভেবে।
খুব দামী কফি না খাওয়াই ভালো আমার মনে হয়,
ইন্দোনেশিয়ার কপি লুয়াক ! ম্যাগো, ওয়াক্, ওয়াক্ !
কিছু না জেনে স্বাদের লোভেই,লোকে তা খেয়ে নেয় ।
প্রাকৃতিক উপায়ে গন্ধগোকুলকে ওরা কাজে লাগায়।
না, বাপু ! কিছু আমি বলছিনা ভেঙে, টেঙে, আর !
খুব বেশি জানার ইচ্ছে আছে যাদের, বা যার, যার,
গুগলকে ডেকে জিজ্ঞেস কোরো, দোষ নেই আমার ।
দিম্মার কথায়,"আধায় কইলে গাধায় বুঝে, আর,
ভাঙ্গায়ে কইলে হালের বলদে বুঝে" বোকা সকলেই।
তবে কে গাধা আর কে বলদ, ঠিক করো তোমরাই ,
আমি মাঝখান নেই, ফাঁকতালে বরং পালিয়ে যাই।
এতদিন পৃথিবীতে এসেছি, সত্যিকারের গন্ধগোকুল,
ও তাদের গন্ধ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
কফির অপূর্ব সুন্দর গন্ধ সৃষ্টি হয় নাকি এভাবেই !