মনে মনে যদি সদা "হরেকৃষ্ণ হরে রাম" গান গাই,
জানি আমি, তাহলে তো কারোর কিছুই বলার নেই।
কারণ শুনেছি, এটা নাকি প্রিয় গান অনেকেরই!
কিন্তু যদি তা শুনতে গিয়ে জোরে মাইক বাজাই !
হরে কৃষ্ণ হরে রাম চিৎকারে লোকের মাথা ধরাই ?
প্রহরের পর প্রহর ধরে একই ভাবে  সময় বয়ে যায় !
অষ্ট প্রহরে মন শান্ত না হলে, বা চাল-ডাল বেশী হলে,
নামগান তখন যদি ছাপ্পান্ন প্রহরের দিকে গড়ায় ?
খিচুড়ির আশায়, আসরে দলে দলে লোক জমে যায়!
ইচ্ছে তো হয় ঐ গানের তালে তালে কান নাড়াই।
মাঝে মাঝে আবার ইচ্ছে হয় গোভূত হয়ে যাই,
যতই কেউ আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলুক না কেন!
"পেঙ্গিও গাই ! হ্যাও যায় ঝরা খেতের ফাই" !
ঝরা ধান সব যাবে ইঁদুরের গর্তে !
খুঁটে খাবার জন্য ওরাই আছে শুধু মর্ত্যে ?
একবার যদি গোভূত হতে পারি কোনোমতে,
স্বাদের বিচার আর আমার থাকবেনা।
কচি সুস্বাদু সবুজ ঘাস আর খুঁজতে হবেনা !
তখন, শাঁকচুন্নিদেরও একটুও ভয় আর করবেনা।
বরং ওসব চুড়েল আর যতো আছে মামদো,
আমকে দেখতে পেলেই অন্ধের মতো দৌড় দিতো !
যখনই এক চাড়ি জাবনা কোথাও দেখতে পেতাম,
মালিকানার কথা না ভেবেই হাউ হাউ করে খেতাম!
আমি খেলেই কি সকলের খিদে মিটে যাবে ?
যতই খাই তবু একদিকের পেট তো খালিই থাকবে !
গলায় আমার কোনো মানুষ দড়ি বাঁধতে পারবেনা,
মাছির জ্বালায় কষ্ট করে লেজ নাড়াতেও হবে না,
অবশ্য কোনো মাছি আমার গায়ে বসতে পারবে না।
চামড়া নাড়িয়ে তাড়ানোর কায়দাটা আছে জানা,
খোঁটাতে বাঁধা থাকতে আমি কিছুতেই রাজি না।
গুঁতোই আর না গুঁতোই, ভয় দেখাতে আপত্তি নেই,
জানি আমি, ব্রহ্মদত্তিও আমাকে সমঝে চলবেই।
সমাজে গোমাতা যারা, তারা যদি এতো সম্মান পায়,
ভূতেদের জগতের গো ভূতেরা, সম্মানিত কেন নয় !
বলনা কোথায় গেলি ! ওরে আমার কানাই-বলাই !
প্রিয় গান "হরে কৃষ্ণ হরে রাম" আমি তো নীরবে গাই।