নিঝুম গভীর রাতের আকাশে একা চাঁদটা জাগে,
জোছনার প্রতাপে তারা, কোথায় যে লুকাবে ভাবে।
রাতের আকাশের সাদা রঙের ঐ চাঁদটাকে দেখে,
মনে পড়ে গেলো খুব চেনা জানা সাদা বকটাকে।
একটা ধুপধুপে সাদা সাবধানী বক আছে,
কি জানি কোথায় যে ও বাসা করেছে !
রান্নাঘরের জানালা দিয়ে রোজ দূপুরে,
ঠিক বারোটায় দেখি ওকে আসতে উড়ে।
পাশের মাঠে কি জানি কি সব খায় ঘুরে ঘুরে।
আজকেও ঠিক সময়মতোই ও এখানে এসে গেছে,
হয়তো এই মাঠের স্বপ্ন দেখেই রাতটা কাটিয়েছে।
মাঠ, জল, জঙ্গল সব যাচ্ছে যে সরে ধীরে ধীরে,
তবু তো বর্ষায় দু একটি বক এখনও আকাশে ওড়ে!
খাবারের ঠিকানাটা কাউকে জানায় না বলে ,
বকেদের সমাজে ওকে আজ করেছে যে একঘরে।
জানলেই কাড়াকাড়ি করে সব নিঃশেষ দেবে করে,
গেঁড়ি, গুগলি, যা কিছু আছে ওসব ঘাসের ভেতরে।
একটু বেশি বৃষ্টি হলে আসবে কই কিংবা কুঁচোমাছ ,
তখন তো আসবে সকলেই দল ধরে, করবেনা বাছ।
পানকৌড়ি, জলপিপি, ডাহুকের পরিবারের সকলে,
মাছরাঙা,বক,গাঙশালিকের দল, ওরা সকলে মিলে,
এই মাঠেই করবে শিকার দাঁড়িয়ে ছিপছিপে জলে।
দিনের প্রখর সূর্যালোকে মেচেতায় গাল ভরে বলে,
বর্ষার মেঘেরা ডাকলেই ঠিক এসে যাবে দলে দলে ।
বাইরে গেলে মুখের সামনে মেঘেরা ছাতা দেবে মেলে!
পৃথিবীকন্যা সীতা নাই বা হলাম, তবু নই এলেবেলে ।
বলোতো দেখি, আজকাল ঐ ফেয়ার এন্ড লাভলি,
অথবা সানস্ক্রিন লোশন, এসব মাখে কেন সকলে  ?
আরে,আমি তো ভাবি, বকের মতোই ফর্সা হবে বলে।