বর্ধিষ্ণু নখ নিয়ে অশেষ বিড়ম্বনা  
প্রায়শ নীরবেই সইতে হয় যাতনা।
তার উপদ্রুপ মাত্রা বাড়লে নিয়ত  
অনুভবে সেটি চন্দ্র-কলঙ্কের মতো।


জীবের আত্মরক্ষার্থে রহে বহিঃরঙ্গে          
সু-দৃঢ়ভাবে ওরা সেঁটে থাকে অঙ্গে।  
স্বভাব-দুষ্ট নখ নিয়ে ছেলেখেলায়    
মৃত্যুও ঘটে যেতে পারে অবেলায়।


ওদের দিয়ে চুলকানি মেটালে রঙ্গে  
জ্বালাসহ রক্তক্ষরণ ঘটে সঙ্গে সঙ্গে।
তখন ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে
জীবন সংশয় যেন ঘনিয়ে না আসে।


শরীর-যন্ত্রকে সুস্থ সাবলীল রাখতে
স্নায়ু বর্জিত এই রেচন পদার্থটিকে
নিপুণভাবে বাদ দিলে কেটে ছেঁটে  
যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণ হয় না মোটে।


ওদের সমূলে উচ্ছেদ লাগি অযথা  
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গদের বাদ দেওয়া বৃথা।
প্রাজ্ঞরা বিলক্ষণ জানেন এই কথা
এ নিয়ে মতান্তর দেখেছে কে,কোথা!


অঙ্গ-উচ্ছেদ বুদ্ধি-বৈকল্যের সামিল  
বুদ্ধিদীপ্ত কাজটা করা চাই সাবলীল।