সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা।বিশ্ববাসীর    
জীবনে দ্রুত বাড়ছে যন্ত্রণা।মেঘনাদের মতো
অলক্ষ্যে থেকে বিস্তার লাভ করছে এই মারণ    
ভাইরাস। বিশ্ববাসীর মনে জাগছে ভয়ানক ত্রাস।  
জানি,এখন এই কথাটি বলার হয়ত সময় নয়,      
তবুও গভীর আঁধারে লণ্ঠনের অস্পষ্ট আলোয়    
ওদের ফ্যাকাসে মুখগুলো দেখে কি নীরব থাকা  
শোভা পায়?
ফুটপাথের ধারে অজস্র নিঃস্ব মানুষ রোজ কাটায়    
অনাহারে,ক্ষুধায় তাদের অন্তর্দাহ প্রতিনিয়ত চলে
অগ্নিদগ্ধের মতো,শিশুদের নিয়ে সেসব মানুষেরা
বাঁচার তাগিদে কাজের খোঁজে করতে গিয়ে গলা
ধাক্কা খায়,সেসব অর্ধাহার কিংবা অনাহারে ক্লিষ্ট
মানুষেরা বারবার মৃত্যু কে খুব কাছ থেকে দেখে
আজ ভুগছে না এই বীভৎস করোনা ভাইরাসের
আতঙ্কে।
ওরা দেখছে নীরবে মৃত্যু-মিছিল পৌঁছে যাচ্ছে  
শ্মশানে।সেথায় ধনী-গরীব,নেতা-মন্ত্রী,সরকারী
আমলাদের সাথে সাধারণ কর্মচারীরা,দুঃখ ক্লিষ্ট
শ্রমিকদের পাশাপাশি কলকারখানার মালিকদের
শবদেহ জ্বলছে গণ-চিতায়।
বিস্ময়ে ভাবে,সুদীর্ঘকাল কত শ্রমিক ও কৃষকের
রক্ত ঝরেছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে সাম্যের দাবী তে।
এ যাবত যে সাম্যের প্রতিষ্ঠা করা যায়নি সমগ্র
বিশ্ব জুড়ে,সেটি আজ নির্বিবাদে ঘটছে করোনার
দৌলতে,তাদের মৃত্যুর পরে।
এই দুর্যোগ নিশ্চিত কাটবে অচিরে,জানিনা এবার
মনুষ্যত্বের অপমৃত্যু যা হবার ছিল না কোন কালে
সেটি ঘুচবে কিনা দুর্যোগ কেটে গেলে!