প্রতিদিন দেখি শহরতলীর ট্রেনের প্লাটফর্ম ও মহানগরীর কানাগলি থেকে প্রশস্ত রাস্তার ফুটপাথ।সর্বত্র চলে পিঁপড়েদের মতো জনস্রোত।সড়কে গিনিপিগের মতো ছোটে ছোট-বড় যানবাহন।ফুটপাথের বেশির ভাগ স্থান দোকানি ও হকারদের দখলে।সর্বত্র ঠেলাঠেলি করে পথচারীদের যাতায়াত।
সেথায় ব্যস্ত পথচারীরা নিয়ত ছোটে বাধ্য ঘড়ির কাঁটার সাথে।সময়ের তাড়ায় রাক্ষসের মতো দাঁত বের করা সংকীর্ণ ভাঙাচোরা,এবড়ো খেবড়ো কংক্রিটের ফুটপাথ ছেড়ে পা বাড়ায় রাজপথে।হার্ডল রেসের মতো ছোটে প্রাণ হাতে।
কোথাও নিয়ম নীতির বালাই নাই অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে।পথচারী ও চলন্ত গাড়ির বিয়াদপিতে গাড়ির ধাক্কা খেয়ে পথে লুটিয়ে পড়ে লোকজন।রক্তক্ষরণ ঘটে যখন তখন।রক্তগঙ্গায় ভাসে রাজপথ।
সহমর্মীতায় বা ঘটনার অতিশয় ঔৎসুক্যে জনগণ ছুটে আসে ঝড়ের বেগে।দৃঢ় প্রত্যয়ে কোলাহল বাড়ায় ব্যস্ত সরণীতে।
মুহূর্তে পুলিশ বা জনতার ব্যস্ততা বাড়ে জাগ্রত সরণীতে।তারা ক্ষতবিক্ষত পথচারীদের নিয়ে পৌঁছে দেয় হাসপাতালে।স্বজনদের কাছে খবর পৌঁছলে তারা ছোটে সেথায়।অর্ধমৃতদের চলে বাঁচার লড়াই।মৃতদের নিয়ে ফেরে আত্মীয় পরিজন।‘হরি বোল’ ধ্বনি তোলে পথে পথে।বেওয়ারিশ মৃতদেহ শায়িত থাকে হাসপাতালের মর্গে চিরনিদ্রায়,সমগোত্রীয়দের সাথে।
এ ঘটনার বিরাম নাই চলমান স্রোতে।পরম আরাধ্য ধনকুবের লক্ষ্মী ছুটে আসেন ঘটনা ঘটার সাথে সাথে।পথচারীদের বলেন নির্দ্বিধায়,জনতার ঠাসা ভিড়ে তাঁর ঠাই।পসারিদের বেচাকেনা ও তাঁরই দৌলতে।তাঁকে বাস্তু চ্যুত না-করার অনুরোধ জুড়ে দেন সাথে সাথে।
তাঁর অনুরোধকে মান্যতা দেয় ফুটপাথ দখলদারী ও পথচারী।দেখি,কালের স্রোতে ভাসে মহানগরী।এ যেন নিত্য বহ নদীর স্রোতে মাছ ও মৎস শিকারী।উভয়ের অদ্ভূত সহাবস্থান।সমৃদ্ধশালী হচ্ছে মহানগরী।