বাবুমশাইয়ের মাথায় চড়ল পালকিতে চড়ার
শখ আর ঠিক তখন এই কাজের ব্যবস্থাপনার
দায়দায়িত্ব পেলো তার এক সুধী-জন।তারপর
সেই কাজ মেটাতে বিলম্ব হয় কখনও?
এইতো সেদিন দায়িত্বপ্রাপ্ত জনেক সুধী-জনের
নির্দেশে অনতিবিলম্বে পালকি নিয়ে সেখানে
পৌঁছলো ছয় পালকি বাহক।
দেখেছি সেদিন লকলকে শখের সুড়সুড়ি খেয়ে
সেজে-গুঁজে এসে পালকিতে চড়ে বসার আগে
বাবুমশাই শুরু করলো চোখ রগড়ানো।কোনও
ভুলচুক ঘটে গেছে যেন।
পালকি বাহকদের এ কী দশা!তাদের শরীরে
জেগে আছে হাড়-কঙ্কাল,সবার শরীর এতোই
বেহাল।বলবে কী,বাবুমশাই!এটুকু যে তাদের
বাঁচার ভরসা।
ভাবলো বাবুমশাই,‘দীর্ঘ দিনের পালকি চড়ার
শখ তবে কি হবে বানচাল’?পালকিতে চড়ে
বসবেন কোন সাহসে?যদি জীবনটাই ধূলায়
লুটায়!
হয়তো তাই।তাতে,তাদের আর দোষ কিসে?
কর্মহীন দেশে দীর্ঘদিন আধপেটা খেয়ে পালকি
বাহকদের এই দুর্দশা দাঁড়িয়েছে।
বাবুমশাই!মনে কি পড়ে তাদের এই সমস্যার
সুরাহার জন্য আপনাকে বলতে গেলে আপনার
নির্দেশে আপনার অনুগত পেয়াদাদের ছড়ির
কষাঘাত খেয়ে এই লোকগুলো স্বগৃহে ফিরে
গেছে।