তুমি নেই ভাবতেই
ভূমি হয়
.....বানডোবা আষাঢ়ের,
কণ্ঠ ভরাট মুখ
নিশ্চুপ
.....হয়নাতো ভাষা বের|
তুমি নেই ভাবতেই
কাঁকমেঘা
.....রূপ ছায় নীলাকাশ,
সুখবাহী দখিনের
যাতায়াত
.....কোলে ভাসে সে আভাস|
তুমি নেই ভাবতেই
সবুজ কচি
.....ধান পরে ফ্যাকাশে,
ঘাসের গালিচা পাতা
সরল পথও
.....যে হয় বাঁকা সে|
তুমি নেই ভাবতেই
মাটি ছোঁয়
.....গোলাপের  রূপ-কায়,
হঠাত্‍ জন্মা কোটি
কাঁটাগাছে
.....অরণ্য বিধে যায়|
তুমি নেই ভাবতেই
সহনীয়
.....রোদ পায় বারোমুখ,
রুপালী রঙীন মাখা
পুরো চাঁদ
.....মনে ভরে কালো দুখ|
তুমি নেই ভাবতেই
মুকুলের
.....পথ চলা থেমে যায়,
হঠাত্‍ সূর্য ছুপে
সকালেই
.....সাঁঝ নামে এই গাঁয়|
তুমি নেই ভাবতেই
মনযোগী
.....নিড়ানীও হয় ঘাস,
যুবক ক্ষেতের বুকে
অকালেই
.....যমপোকা করে চাষ|
তুমি নেই ভাবতেই
ফুল আঁকা
.....হাতকুলো ভেঙ্গে যায়,
ছিটকিনী খুলে সুখ
অধরার
.....উদ্দেশে পা চালায়|
তুমি নেই ভাবতেই
পাল ছিঁড়ে
.....ভীম পাকে পড়ে নাও,
সাক্ষাত মৃত্যুর
ভয়েতে
.....অবশ হয় হাত পাও|
তুমি নেই ভাবতেই
রক্তের
.....উষ্ণতা হয় হিম ,
প্রেরণার সারা দেহে
অসহ্য
.....ব্যথা বয় ঝিম ঝিম|
তুমি নেই ভাবতেই
নিসর্গে
.....উঠে ধ্বনি হাহাকার,
আমায় কয়েদ করে
স্মৃতি দশ
.....দিকে পেঁচে কাঁটাতার|
কোথা তুমি কোন গ্রহে?
আমি ছাড়া
.....অভিমানে বেঁচে রও,
কখনো কি তুমিও গো
ঐ গ্রহে
.....চলতি এ আমি হও?|
যদি হও তবে প্রিয়
ফিরে এসো
.....ভুল,মান দলে পায়,
আমার চাতক বুক
এখনো যে
.....তোমাকেই
পেতে চায়|