২৭/১১/২০১৯,  রাত-৬-৫০


একটি সুখের ঠিকানা


নিঝ্ঝুম,নির্জন, নিস্তব্ধ, শান্ত একটি বাড়ি
হৈ চৈ, কোলাহল, আনাগোনা তেমন নেই,
চারিপাশে অনেক গুলো  ফলগাছ,
ঝিরঝির বাতাস আর ছায়া দিয়ে যাচ্ছেই ।


ফলের মৌসুমে কত রকম ফল
গাছে গাছে শোভা পায়,
কিছু ফল নিজের  অজান্তে
পেকে ঝরে পরে যায় ।  


পাকা ফলের মিষ্টি সুবাস
বাতাসে বাতাসে উড়ে বেড়ায়,
যে একবার খেয়ে মজা পেয়েছে,
সে আবারো  খেতে চায় ।


কাঠ বিড়ালি, বাদুর, আরো নানান পাখিরা
গাছ থেকে গাছে বায়,
নেচে নেচে ফল খায়,
খুশিতে ডাকাডাকি করে, ডালগুলো নাচায় ।
  
একটি সরু মেঠো পথ
বাড়ির মুখে এসে মিলায়,
পাশেই সবুজ ধানক্ষেত ও শব্জি,
দেখে দেখে আনন্দে বুক ভাসায় ।


ছাদে তার এসে দোল খায়
পেয়ারা, আম, কাঠাল ও লিচুর ডাল,
হাতে ছিঁড়ে খাওয়া যায় ফল,
এর মাঝেই বেহেস্তের  সুখ পায় ।


খানিকটা নির্জন বলে আসে সাপ
অনায়াসে বিচরণ করে বেড়ায়,
সরীসৃপ হলেও কারো করে না ক্ষতি
মানুষের গন্ধ পেলে নিজ থেকেই সরে যায় ।


এই ঠিকানাটির খুব কাছাকাছি
বয়ে গেছে দু’টি পাহাড়ী ঝর্ণাধারা পাশাপাশি
স্বার্থহীন ভাবে বিলিয়ে যায় অনন্তকাল
উর্বর করেছে ফুল-ফল, ফসল ও মানুষের জানমাল ।


    
বাড়িটির পরিবেশ একেবারে গ্রামীন
সবকিছু নিয়ে থাকবে ধরাতে অমলিন,
যে দেখেছে স্মৃতি থেকে কখনো তার
হবে না নগরের ডামাডোলে বিলীন ।


মনে হয়েছে আবাসটি একটি
মৃদু হৃদয় অনুভূতির সুখের ঠিকানা,
চারিদিকে পায় ধুলা-মাটির গন্ধ,
মাটিতে তার অগণিত ঝরা পাতার বিছানা ।


  
শরীফ নবাব হোসন, স্যাম্ব, মীর বাড়ী, দেওানহাট