আহা কি যে কষ্ট! অন্ধকুপের পোকার;
বাংলার কবি কি লিখে, অধীর অপেক্ষা তার;
ধর্মান্ধ রাজাকার, মাথায় নেই তো ঘিলু,
নকলে তা হয়ে যায় লেজে গোবরে, ঘামে সিক্ত আলু-থালু;
তোর মতো সব ছুটে যায়, খুশীতে ছিটায় মরু-দস্যু বালু;


নেই কোনো মৌলিকতা, সাচ্চা নকলবাজ;
পরকাষ্ঠা পরজীবী রাজাকার বাখোয়াজ;
ধর্মান্ধ বাদুড়, ইতিহাস কি বোঝে ?
চায় তো শুধু ধর্ম যুদ্ধ, আরো রক্ত খোঁজে!


ছদ্মবেশটি ছাড়, লজ্জাও নেই নচ্ছার?
অন্ধকারের জীব_ মুজিবের দেশে বেঈমান জানোয়ার;
মৌলিকতা দেখা; নকল করিস না পোকা,
বাংলার কবি যা লেখে, উল্টে পাল্টে, অসফল আক্ষেপে;


সাহস যদি থাকে, আলোতে আন মুখ; ঠিক নামটি জানা;
ইঁদুরের মতো সাহস নিয়ে, করিস না ঔদ্ধত্যপনা;


অন্ধকুপের পোকা, আজ দেখছি ঘড়ির কাঁটা,
কত সময় লাগবে_ তোর গন্ডমূর্খ নকলপনা?
ধর্মান্ধ ইতরের,_ কখনো লজ্জা আসে না।


(২৭.০১.২০২১)


(৫০ মিনিট লেগেছে উত্তরের!! ফলপ্রসূ আমি, অসভ্য শব্দে আজ লাগাম টেনেছে!)


কিছু কথাঃ আজকের কবিতা সমাজের এক নষ্ট হৃদয়কে উদ্দেশ্য করে! এই নীচ লোকটি একদিন আমাকে পবিত্র আল কোরআনের আয়াত শোনায়, আমার একটি কবিতাকে উদ্দেশ্য করে! ভালো কথা! কিন্তু পবিত্র আল কোরআনের আয়াত শোনানো এই হীন-বিদ্বেষী হৃদয়, কবিতা লেখে অতি নীচ সব শব্দ সমাহারে! দেখে অবাক লাগে, এটাই কি তার ইসলামের শিক্ষা, এক মুখে আল কোরআনের বাণী শোনাবে, আরেক মুখে গালাগালি করবে! এই দ্বিমুখী ভন্ড রূপীরাই হলো ধর্মান্ধ! তারা পবিত্র ইসলামকে পণ্য করে। আমি আমার কবিতায় বলেছি, আমার ইসলাম নিভৃতে, আমি কাউকে আল কোরআনের পবিত্র বাণী শোনাই না, সাথে সাথে অন্যমুখে অশীল শব্দ বলি না! যদি বাণী শোনাতাম, তবে একটিও অশীল কথা মুখে বলতাম না। সুতরাং এরকম পাপ এবং ভন্ডামির দায় আমার নেই। তারপরও আমি নিজেকে রূচিশীল রাখার চেষ্টা করি সতত। আমি কবিতা লিখতে এসেছি, কবিদের থাকবে উদারতা, রক্ষণশীল কেউ কখনো ঐশ্বর্যবান কবি হতে পারে না, আমার মতে। এই নীচ প্রকৃতির লোকটি, অকারণ আমার পেছনে লেগে আছে, আজ ছ'মাসের ওপরে! আমার "আহা" কবিতাকেও কারণহীন আক্রমন করেছে। আর এখন দেখছি, আমি কবিতা লিখলে, সে কবিতা লিখতে পারে, না লিখলে সে লিখতে পারে না। মানসিক রোগীর মতো! আমি যা লিখি তাই দিয়ে আক্রমন করে কবিতা সাজায়, কোনো মৌলিকতা নেই! প্রতিদিন সে বসে থাকে অপেক্ষায় কখন কবিতা লিখবো, তারপর আসে তার উত্তর, হীন নীচ লজ্জাহীন শব্দ সমাহারে! এবং দারুণ সাধুবাদও পায় সমাজের বড় বড় ইসলাম দর্শন কপচানো ব্যক্তিবর্গ থেকে, তারাও আনন্দিত হয় অশীল শব্দের মদিরে, এটা কি গুনাহ নয়! এটিই কি ইসলামের নীতি! এবং তাই এই বোকাটি, তার এইসব পরজীবী পরকাষ্ঠা নকলবাজ কবিতাকে মনে করে দুর্দান্ত!  


আরেকটি মজার বিষয়, তার নাম ছবি সব লুকিয়ে রাখা, তার নষ্টতার ক্ষেত্রেই শুধু বলছি, উগ্র অন্ধ মনের মানুষের এটাই রীতি! অন্ধকারের আত্মাদের মুক্তিযোদ্ধার সৎ আলোর সাহস থাকে না।


তবে একটি ব্যাপার খুব উপভোগ করছি, সমাজের অনেকেই আমাকে উদ্দেশ্য করে, অপমান করে কবিতা লিখছে, তাই ভাবি নিশ্চয়ই আমার কবিতা অত্যন্ত শক্তিশালী, না হলে মৌলিক কবিতা না লিখে আমাকে নিয়ে পড়ে থাকবে কেন? আমাকে গ্রাহ্য করবে কেন? তাই আমি গর্বিত কবি হিসেবে! জানালাম কিছু কথা, আমার ঐশ্বর্যময় কবি বন্ধুরা! বন্ধু দেশ ভারত এবং বাংলাদেশ চির উন্নত সুখী হোক!