মুজিব আমার চৈতন্যে
প্রগাঢ় শিহরণ
এঁকে দেয় সে তর্জনী।


আহ! সেকি তর্জনী!
পুষ্পিত, সুষমিত, কোমল, সুরভিত নির্ভীক এক তর্জনী!
সহস্রকোটি বিক্রম শক্তি, আর সহস্রকোটি
তলোয়ারের হুঁশিয়ারি, সে তর্জনী
শোষিতের জন্য নিরাপদ আশ্রয়
শোষকের জন্য চিরসমাধি


সে তর্জনী!
বাঙালীর বুকে এনেছিলো জোয়ার
রক্ত মথিত দুর্জেয় সাহস
ধাবিত করেছিলো একটি মাত্র শব্দ অর্জনে
পুণ্যময় - স্বাধীনতা


রেসকোর্সের সেই তর্জনী
দৈব গণিতবিদের মতো
সমাধান করলেন স্বাধীনতার সূত্র
(৭ এ সাহস + ২৬ এ অন্ধকার + ১৬ তে মুক্তি)
সব মিলে ৯ এর বৃত্তায়নে বিজয়


শেখ মুজিবুর রহমান
আমার প্রিয় কবিতার নাম
স্রষ্টার দান, এ ধরা ’পরে
বাঙালীর তরে, মহীয়ান
সুদর্শন, সুবেশী এবং সুবচন
ও প্রজ্ঞাবান মনীষী
আর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক মানুষ


একটি নামের অন্তরে খচিত, লক্ষ কোটি
অপরূপ শব্দমালা; অগুনিত ও অনন্ত নক্ষত্রের মতো
পৃথিবীর এক রোমাঞ্চকর গল্প, জ্বলজ্বলে অনির্বাণ ইতিহাস


দেখেছিলে কি তুমি!
কি তেজস্বী তাঁর মুখ! রাজকীয়!
পৃথিবীর বুকে, সবচেয়ে সুদর্শন রাজনৈতিক নায়ক


তাঁর মিতমাত্রার পরিধান
সেই পাজামা-পাঞ্জাবী, কালো কোট
কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, ঠোঁটে জগদ্বিখ্যাত পাইপ
করে তুলেছিলো তাঁকে
দৃষ্টিনন্দন এক মহাব্যক্তিত্ব


পৃথিবীর বুকে, সবচেয়ে সুবেশী রাজনৈতিক অধিপতি


ব্যাঘ্রের মতো সাহসী, বজ্র নিনাদি কন্ঠস্বর
যে কন্ঠস্বর!
বাঙালী জাতিকে ডেকে নিয়েছিলো
স্বাধীনতার পথে
সেটি ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম কবিতা
শেখ মুজিবুর রহমান, এনে দিয়েছিলেন বাঙালীকে স্বাধীনতা

তাঁর মূখ থেকে বেরিয়ে আসা প্রতিটি শব্দ
স্বর্গীয় মখমলের মতো মসৃণ
গোলাপী মুক্তোর মতো দামী
এবং একিসাথে বারূদ


পৃথিবীর বুকে, সবচেয়ে সুবচন রাজনৈতিক কবি


বাঙালির মুক্তির জন্য তাঁর
চিন্তা, চেতনা, দর্শন
ঐশ্বরিক গ্রন্থের মতো পবিত্র
সুনিপুণ দিকনির্দেশী
অপশক্তির মাথা নত করে দেবার মতো
ক্ষুরধার অয়োময় তরবারি


পৃথিবীর বুকে, সবচেয়ে প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক মনীষী


বাঙালির জন্য ভালোবাসা তাঁর
আত্মবলিদানে প্রস্তুত
স্নেহশীল বিনম্র বীরের মতো
অকৃত্রিম ও অফুরাণ, অন্তহীন ও অনন্য


পৃথিবীর বুকে, সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক মানুষ


চিরায়ত বন্ধুত্বের যদি কোনো মাপকাঠি
থেকে থাকে; তবে সে হচ্ছো তুমি
সারা বিশ্বে বাঙালীর, সর্বোত্তম নিঃস্বার্থ বন্ধু
আমার হৃদয়ের বঙ্গবন্ধু!


শেখ মুজিবুর রহমান
তুমি এনে দিলে আমাদের স্বাধীনতা


তোমারই জন্য আজ
              স্বাধীন শব্দমালায়
                    স্বাধীন বাঙালি কবি
                                 লিখছে স্বাধীন কবিতা।


(ক্ষমা করে দাও হে মুজিবর
বুকের গহীনে
আরো দুটি শব্দ, ধুকে ধুকে কাঁদছে
দিতে পারিনি শ্রদ্ধায়, এ কবিতার শরীরে
রাজনীতির কুশ্রী জঞ্জাল, তাকে মলিন করেছে
সে গহীনে আমিও যে কাঁদি
শব্দ দুটির পাশাপাশি, একান্তে।)


(রচনাঃ ১৬.০৪.২০২০)