"রথ"


জ্যোৎস্না আলো সবার ঘরে সমান সমান ভাঁও
আকাশ বাতাস ঝর্ণা ধারা নদী কিবা তাও;
গুণ মানেতে শীর্ষে তারা, তারায় তারায় রাতি
ধন ধনী জন করতে কোতল; জ্বালায়
কলুষ বাতি।
কলুষতার বিষ সে ভাপে কানতে চলে ধরা
সমাজ বিধায় বিধান গড়ে বৈষম্যেই ভরা।
তাদের গড়া ভুবন মাঝি, তপ্ত গরল বায়
বইতে চলে সইতে চলে; গরিব
যারা হায়।
হায় রে কানু কেমন তোর ঐ! ইসরাকূলের কূল
গড়তে ধরা মনোহরা করলি কতই ভুল।
তোর সে সাধের বসুন্ধরায় হায়না রাজের চল
কেনই রে বল কানাই আমায়; বিষের
কেনেই ঢল!
আজ করোনা রঙ তুলিতে আঁকলি রে তুই ভুঁই
নির্বিচারে মারিস মানুষ এমন কেনেই তুই।
তোর ভুবনে আজ পবনে কান্না কেনেই ঝরে
বদ্ধ দুয়ার পানেই সবাই; বুক
চাপড়ে মরে।
হতাশ বাতাস দোল খেলে যায় উদাস বাতায়ন
রুদ্ধ দোরে তোরেই পূজে হারিয়ে হৃদয় মন।
সং সেজে তুই মাটির মূরত দেখতে কেমন পাবি
আমার হাতেই তালুর তলেই তোর
দুয়ারের চাবি।
কেহই তো আর গুণ গাবে নি ভুলিস যদি তুই
বলছি রে তাই আসন পাবি, হারাস নারে খেই।
এক্ষুণি তোর তন্দ্রা ভেঙে যা ছুটে যা পথ
করোনার ঐ অবসানেই; ছুটবে রে
তোর রথ।


"অবশেষে"


অবশেষে!
যেদিন বিদায় বাণী; সোহাগেতে করোনা
সেদিন কি রয়ে যাবে, আজকের গড়া প্রীত
সাম্যের গীতে বোনা!
নাকি ফের  বিদ্বেষ, বিষ ধারা গরোলেতে; পুনঃ  
কলুষিত হবে প্রাণ; হলাহলে
ঘ্রাণে মেতে!
ভাবি তাই করোনাই যুগে যুগে যাক থেকে
তার ই সাথে গাটছড়া। বেঁচে রব
ধুঁকে ধুঁকে।