যে ছেলেটা নিজের মাংস নিজেই খাবলে ধরে
রক্ত দেখে অট্টহাস্য করে, নিজে নিজেই
মদের গন্ধে মুখ গুঁজে মিথ্যা সুখ খোঁজে
সেই হয়ত বলতে পারবে, অশান্তি কেমন হয়  !
যে ছেলেটা বন্ধ ঘরে একাকিত্বের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে
জীবনের খুব কাছে থেকেও যেন আলোকবর্ষে দূরে,
সবুজের সমাহারে থেকেও যার দম নিতে কষ্ট হয়
সেই ছেলের কাছে শুনে দেখো, অস্বস্থির অনুভূতি !
যে মেয়েটির আত্মচিৎকার একটা সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ
পাশ্চাত্য সভ্যতা যার ইজ্জত নিয়ে লুকোচুরি খেলে
জীবন মৃত্যুর মাঝের দূরত্ব যার কাছে কমে যায়
তার কাছ থেকে জেনে নাও, অনিশ্চিত কাকে বলে  !
সন্তানের শেষ বস্ত্রটুকু দু হাত দিয়ে বুকে আগলে রেখে
যে মায়ের স্তম্ভিত শরীরের চোখের জল মাটিতে মেশে,
যে মায়ের অদম্য সাহসিকতা জন্ম দেয় একটা স্বাধীনতা
সেই মায়ের কাছে শুনে দেখো, আত্মত্যাগের যন্ত্রণা  !
শেষ বুলেটের শব্দ যার বুকের ক্ষত পরিমাপ করে
রক্তের প্রতিটি কণা জমাট বাঁধতে থাকে সেই ক্ষতকে ঘিরে
যার জীবনের শেষ উচ্চারণ কাঁদিয়ে দেয় এই মাতৃভূমিকে
সেই শহিদের কাছে শুনতে পারো, ভালোবাসা কেমন  !


এই পৃথিবীর প্রতিটি উপাদান ভালোবাসতে শেখায়
অনুভূতি শেখায়, হাসতে শেখায়, কাঁদতে শেখায়
নির্লিপ্ত মনের সুপ্ত বাসনা চুপিসারে বলে যাই আমাকে
জীবনের থেকে শিখে নাও কীভাবে হারতে নয়, বাঁচতে হয়।


বসিরহাট থেকে প্রকাশিত (পুজো সংখ্যা ২০২২)