শরীরটা যদি বহমান স্রোতে ভাসিয়ে দিই
কতজন বাঁচার তাগিদে, আমাকে খড়কুটো ভাববে?
অথবা যে অগভীর কূয়োয় হিংস্র শ্বাপদ হয়েছে বন্দি,
সেখানে যদি একটা বড় গাছের ডাল ফেলে দিই
তাহলে কি উঠে এসে আমাকে দিয়েই উদরপূর্তি করবে?
কি হবে, আর কি হবে না, এই চিন্তায় কি কাজ হবে?
কোটি টাকার উচ্ছিষ্ট দানে, কি মনুষ্যত্ব অর্জন হয়?
আত্মরক্ষার্থে যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়
তখন কি পাওয়া যায় মনুষ্যত্ব বোধের নিখুঁত পরিচয়?
মর্মস্পর্শী নাটকের অন্তিমে মিলনাত্মক পরিণতি,
অথবা খেলার মাঠে জনারণ্যে মিশে যাওয়ার অনুভূতি,
কিছুক্ষণের জন্য দেয়, দুশ্চিন্তার নাগপাশ থেকে মুক্তি।
তোমার আমি, আর আমার তুমি, এটাই কি জীবন?
ঘোর প্রাকৃতিক দুর্যোগে, কিংবা যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞে,
কোনও মৃত্যুমুখী কে দেখে, কি মনে আসে-
কে আমি? কে তুমি? অথবা কে এই মৃত্যুপথযাত্রি?
সংকটে তো কাউকে বাঁচাতেই, মানুষের আত্মবলিদান।
হয়ত এই জন্যই সজীব, পৃথিবীর মানবিকতার উদ্যান।