“জ্যোৎস্না আর বৃষ্টিস্নাত দুটি প্রাণ”


নিস্তব্দ রাত ।
ঘড়ির টিক টিক শব্দ।
আঁখিতে নেই নিদ্রার লেশমাত্র।
জানালাটা খোলা; পুরো ঘর আলোকিত জ্যোৎস্নার আলোয়।
জ্যোৎস্নার আলো নাকি হৃদয়ে দেয় প্রেমের জোয়ার!
কতো খ্যাতিমান কবিরা অঙ্গন করেছেন তাঁদের কবিতায়;
জ্যোৎস্নায় প্রেমের বাতায়ন !
আমি তো প্রেমহীন প্রেমিক আর স্বামী।
হঠাৎ কোন ভাবনায় যেন ডুবে গেলাম ।
অজান্তেই আমার হাতের স্পর্শ লেগেছে;
আমার ঘুমন্ত মিষ্টি বৌয়ের গায়ে; ঘুম ভেঙ্গে গেল তার।
ঠোঁটে একচিলতে হাসি-
জ্যোৎস্নার আলোয় আরো বেশি মিষ্টি লাগছে তাকে।
ভাবছিলাম অবাক হয়ে আমার সামান্য স্পর্শ তাঁকে এতো উৎফুল্ল করে!
আমার হাতটি ধরে বললো “এই চলো না ছাদে গিয়ে জ্যোৎস্না দেখি”
মনে মনে বিরক্ত হয়েছি তবু তাঁর হাসির জন্য;
রাজি হয়ে ছাদে গিয়ে হাতটি ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
জ্যোৎস্নার আলো পড়েছিল তাঁর মুখশ্রীতে; মুগ্ধতায় তাকিয়ে ছিলাম তার পানে!
কি যে হলো হঠাৎ জ্যোৎস্না ঢেকে গেল মেঘে।
তারপরেই ঝুমবৃষ্টি!
আমি চলে এলাম আড়ালে; পাগলী বৌ আমার বৃষ্টিতে ভিজছে।
আমি শুধু মুগ্ধতায় আছি তাকিয়ে।
চুলগুলো তার ভেজা; ফোঁটা ফোঁটা জলকণা পড়ছিল তারই হস্তে!
একটি নারীকে সবথেকে বেশি স্নিগ্ধ;
বৃষ্টিস্নাত, জ্যোৎস্না আর ঘুমন্ত অবস্থায় লাগে।
কেন জানি আজ ইচ্ছে করেই বৃষ্টিতে গিয়ে;
জড়িয়ে ধরলাম পাগলি আর শিশুসুলভ বৌটাকে !
লজ্জা পেয়ে মুখশ্রী আমার বুকে লুকিয়েছিল।
যেইনা মুখশ্রী লুকিয়ে জড়িয়ে বলেছে “বড্ড ভালবাসি তোমায়”
সেই লগ্নে বৃষ্টি থেমে আবার “জ্যোৎস্না” হেসে উঠলো।
সিক্ত হলাম দুজন জ্যোৎস্না আর বৃষ্টিধারায় !