প্রথম বই প্রকাশ নিয়ে সবার ভেতরেই একটা আবেগ উৎকণ্ঠা ও ভয় কাজ করে, আমার ভিতরেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথম বই প্রকাশ যেকোনো আনন্দময় অনুভূতির চেয়ে অনন্য। আমার ক্ষেত্রে ‘আমার প্রথম বই’ এই আনন্দের চেয়ে একটু আশঙ্কাই বেশি কাজ করছে। মনের মধ্যে একটু খুতখুত। আদৌ বই প্রকাশের সময় হয়েছে কিনা! বাংলা কবিতার আসরের আমার শ্রদ্ধেয় অনেক কবি বলে থাকেন আপনি ভালো লিখছেন তবে এখনো বই প্রকাশ করছেন না কেন। তাদেরকে বলতে ইচ্ছা হয় বই প্রকাশের ইচ্ছে তো সব সময় ছিল তবে সাহস হয়ে ওঠেনি। শেষমেষ ভিন্ন চোখ প্রকাশনীর কর্ণধার "আলী আফজাল খান" ভাইয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার পর বই প্রকাশের ইচ্ছাটা আরো তীব্র হয়ে উঠলো। শেষে সাহস করেই ফেললাম। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এ ভিন্ন চোখ প্রকাশনীর ব্যানারে আসছে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "খানিক অন্যরকম" প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত। ৬৪ টি কবিতা দিয়ে প্রকাশিত হলো "খানিক অন্যরকম" কাব্যগ্রন্থটি। প্রথম বই প্রকাশের ব্যাপারটি আমার জন্য অন্যরকম অনুভূতির যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কবে থেকে ভেবেছি আমার একটি বই প্রকাশ হবে এবং সেটি হয়েছে। বই সম্পূর্ণ হওয়ার পর ভিন্ন চোখ প্রকাশনীর প্রকাশক শ্রদ্ধেয় আলী আফজাল খান ভাই যখন ফোন করে জানালেন তখন মনে হল সমুদ্রের বালুকাময় তীরে বারবার যেভাবে ফেনিল সমুদ্র আছড়ে পড়ে আমার বুকের পুরোভাগ জুড়ে যেন সমুদ্রের বসন্তকালীন ঢেউয়ের মতন কি যেন আছড়ে পড়ছে বারবার এমন এক তীব্র অনুভূতি কাজ করে। প্রকাশনীতে গিয়ে বইটি হাতে নেওয়ার পর মনে হয়েছে অনেকদিনের অপেক্ষার অবসান 'অবশেষে হলো তাহলে'। আমার প্রথম বই প্রকাশিত হলো এটা বড় ব্যাপার না। বরং একজন শিক্ষানবিস হিসেবে আমি প্রতিনিয়ত শিখছি এবং এটা আমার শিক্ষানবিস অবস্থানকে জানান দেয়া মাত্র। তবুও যদি আমার কাব্যগ্রন্থটির একটি কবিতাও কারো কাছে ভালো লাগে তবেই আমি স্বার্থক। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের সফলতা কামনায় বাংলা কবিতার আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিদের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।