আমরা আধুনিকতায় রাখিয়াছি পা
রং লাইগাছে মনেরই মাঝে!
রং-এরই মানুষ আমরা' কম-বেশী
যাহাই বা জানি; সঠিক কাজ নাহি করি!
শরীরের শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা নাহি ভাবি,
কাস্টমার যে এলেই বলি জনাব-জনাবা ভদ্র মহাশয়!
এই ভাবেই ঐ নকশায় করিলে তৈরী,
শরীরে পরিধানে লাগিবে তোমায় বেজায় যে ভারী।
টাইট ফিট পোশাকের অন্তরালে প্রস্ফুটিত শরীরের
সুদর্শন দেহটার বিভিন্ন অঙ্গের উচু-নিচু ভাঁজের রই যেন
বাহারী সৌন্দার্য বোধতায়, মনে হয় কতই যেন স্মার্ট!
দেখিতে লাগিছে পাইছি বুঝি আধুনিকতার অপরুপেরই ছাঁপ।।


হায়রে মানুষ আমরা আধুনিক যুগ বলিয়া কথা;
হইতেই হইবে নাকি যুগেরই সাথে যুগান্তকারী রুপেরই!
ওরে ভাই-বোন শোন সবে শোন কি করছি আমরা?
জানিয়া করছি কি? না জানিয়াই হচ্ছি এমনই!
এমনই পোশাক পরিধান করিয়া আসছি, করিতেছি'
পথ চলিতেই দেখিতেই পাই এমনই পোশাক পরিধানে
শরীরটাতে শুধুই মনে হয় কান্ডহীন বৃক্ষের ন্যায়..
শুধুই ডাল-পালা! ঐ যে পোশাকের সেটটি পরিধানে..
হাতের-পাঁয়ের জয়েন্টের, বিভিন্ন ভাঁজের জয়েন্ট সমূহের!
যায় না সহজেই উচু-নিচু ও ভাঁজের ঘুরা-ফেরা করা।
যে দিকেই হাত-পা ঘুরাতে চাই না কেন; সে দিকেই টান লাগিয়া..
শরীর বাহির হইয়া কখনও সখনও সেলাই যায় ফাঁটিয়া-ছিঁড়িয়া।
লজ্জ্বায় লাজে মরি! হই যে বড়ই অপরের দৃষ্টিতে মুসকি হাসিতে কুটিকুটি!!!


প্রকৃতির ডাকে সাঁড়াতে ঐ টাইট-ফিট-পোশাকে বেজাই কষ্ট যে;
দেখ না টিকটিক করিয়া চলাফেরা করিয়া বেড়ায়'
মনে হয় যেন কতটাই দ্রুত গতির বুদ্ধি মত্তা'র গুরুত্ব পূর্ণ একজন!
এদিকে ঐ টাই-ফিট পোশাক পরিধানে শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গের হচ্ছে ক্ষতি।
শরীরের আবরণ চাঁমড়াতে পাচ্ছে না বাতাস-আলোর রশ্মির স্পর্শতা!
নাভির নীচে পরিধানের পোশাকের বিপরীতেই পেটের ব্লাডার..
শুধুই যাইতে চাহে তো সামনের দিকেই ধাবিত;
অপর দিকে বিজ্ঞান বলিয়াছে পায়ের গুড়ালীর নিচে পোশাক..
স্পর্শ করিলে ক্যালসিয়্যামের হয়ে ক্ষতি দেখা দেয় বড়ই ইনজুরি।
কেহই বুঝেও না বুঝ হচ্ছি যে অবুঝ; বলে আসছি এমনই রুপ;
নামী-দামী, নাম করা ব্রান্ডের, অপূর্ব স্টাইলের, হয় না তুলনা ঐ পোশাকের!!


ওহে মানুষ আমরা! জানি কি নাভির নিচে পড়িলে পোশাক!
কোমড়-বন্ধনীর প্যান্টের ও বেল্টের প্রেসার পড়ে যে কিডনীরই উপরে।।
কেন এতো কষ্ট দেই; নামী-দামী পোশাকের আঁড়ালে নিজ শরীর টাকে?
ঐ দিকে শুধুই না জানাতেই কোমড়ের বেদনায় চিকিৎসায় হই রত যে'
টেইলার্স মাস্টার্স ও পোশাক পরিধানকারী হও না স্বাভাবিক ও মার্জিত;
রুচিশীল মননের অপূর্ব ডিজাইনের নামী-দামী কারীগর তোমরা!
রক্ষা করো মর্যাদা! হও না মর্যাদাবান মানুষ! সেই সাথে রওনা নিজ গুণের,
হওনা প্রকৃত সুন্দর রুচিশীল টেইলার্স মাস্টার্স অপূর্ব স্বাভাবিক ডিজাইনের;
তবেই তো তোমায় কর্ম রক্ষা পাবে আধুনিকতায় স্মার্ট পোশাকের।।
===×××===
===×××===
বাণী : মানুষের মর্যাদা প্রকৃত পক্ষে কোনই স্টাইল পোশাকে নয়! প্রকৃত মর্যাদা হইল, তাঁর বিচার্য গুণে, যোগ্যতায়, কর্মদক্ষতায় ও সততায়। তা না হয়ে শরীরে টাইট-ফিট-পোশাক পরিধান করে অসহায় শরীরটাকে কষ্ট দেওয়ার রঙ্গ-মঞ্চের মতন সাময়িক আনন্দ যারন‍্যায় নাভির নিচে পোশাক পরিধানে কিডনীকে অস্থির করা ছাড়া আর কোনই উপকারে আসে না মানুষের কল‍্যাণের।