এই তো আমার বয়স হলো
চল্লিশ ছুঁই ছুঁই,
সংসারের চাপ নি না
নটা অব্দি শুই।
বউ বিরক্ত মা বিরক্ত
বিরক্ত ছানাপোনা,
কাব্যিকতায় আমার ভিতর
স্বপ্ন আনাগোনা।
বউ বলে- "চালচুলো নেই
খাবোটা আজকে কি"?
বলি "কাব্য আমার পাবে প্রকাশ
ভোরে স্বপ্ন দেখেছি।
পাবো আমি একাডেমি সম্মান
নোবেলও পাবো শেষে",
ঝংকার দিয়ে পালায় বউ
তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে।
যেতে যেতে যত রকমের
দেয় যে গালিগালা,
"এমন মানুষের ঘর করতে
জীবন ঝালাপালা।
পড়ার বয়স পেরিয়ে গিয়ে
পড়ায় দিয়েছে মন,
মোবাইলটা হাতে নিয়েই
টিপছে সারাক্ষণ।
হাট-বাজার নাই, সদাই নাই
বিয়ে-বাড়ি যেতে হবে,
কাজের মেয়ে আসতে চাই না
দু মাসের বেতন পাবে।
ছেলের বইয়ের টাকা চাই
মেয়ের নেয়কো জামা,
সদাই দোকানে টাকা চাইতে
এসেছিল মুদি রামা।
মায়ের ঔষধ শেষ হয়েছে
আমারও চাই যে শাড়ি,
নইলে আর থাকছি না হেথা
যাবোই বাপের বাড়ী।"


হায় ভগবান! কবিরা কি আর
এত সকল ভাববে,
কবির জগৎ কাব্যিকতা
বউরা কবে বুঝবে।
পাঠক আমার কাব্য পাঠে
দেয় যে ভালবাসা,
লিখবো আমি পড়বে পাঠক
এই তো শুধুই আশা।
পাঠকই বলুক করবোটা কি
সংসার না কাব্য,
আমার জন্য একটু না হয়
পাঠকেরাও ভাবো।