আছে আজ তোর মুম্বাই শহরের ফ্ল্যাট বাড়ি,
গান করে টাকা রোজগার করিস কাড়ি কাড়ি।
রেকর্ড কোম্পানীর অফিসে যাস চড়ে নিজের গাড়ি,
লোকে বলে, তোর নাকি হয়েছে পায়াভারি।
সেসব উড়ো কথায় আমি কি বিশ্বাস করি !
তুই আমাদের কাছে এখনও সেই বাবু,
ফোকলা দাঁতের হাসিতে যেমন করতিস কাবু।
শহরের ট্র্যাফিক রুলটা একটু মেনে চলিস,
কেউ বুঝবেনা তুই দেখতে পাস কি না পাস!
একটু সাবধানে কিন্তু রাস্তা ঘাট পার হোস।
ঘুড়ির কাগজ, আঠা, পুরোনো বই ও লাটাই,
আজও রাখা আছে, পেয়েছে চিলেকোঠায় ঠাঁই।
জানি তো তোদের টেরেস আছে,
কিন্তু বোধ হয় ওখানে চিলেকোঠা নেই।
সেখানে আছে নাকি এক সুইমিং পুল,
আমদের ঘরে জমে মাকড়সার ঝুল।
তোর খাবার হটডগ, পিৎজা, বার্গার,
বাটিতে মুড়ি মাখা আমাদের আহার।
মিউজিক সিস্টেমে তুই শুনিস গান,
আমাদের আছে পাখিদের কলতান।
তোর ঘরে তো সুরভিত রুম ফ্রেশনার,
এখানে বাগানে ফুল ফোঁটে না রে আর।
তোর মোবাইলে সোস্যাল নেটওয়ার্ক,
টেলিপ্যাথিটা না হয় আমাদেরই থাক।
এখানে খঞ্জন, চড়ুই, কাক ও ফিঙের ডাক,
সকলেই চাই, তুই সুখি হ, খুব ভালো থাক।
আমাদের তুচ্ছ এ সব সম্পত্তি আর বাড়িঘর,
জানি তো, এখন আর তোর নেই দরকার।
মাঝে মাঝে দয়া করে এখনও খোঁজ নিস,
সময় করে, কয়েক বছর পরে বাড়ি আসিস!
তোর তরে সর্বদা ঝরে শুভকামনা আর শুভাশীষ।
যখন তোর পছন্দের কোনো পদ হয় রান্নাঘরে,
তখন তোকে যে আরো বেশি করে মনে পড়ে।
আগে তো আমাদের অন্ধের যষ্ঠি তুই ই ছিলিস !
তবে আমাদের দিন ঠিক কেটে যাবে, দেখিস !
লাঠি হাতে চলি, বসে থাকি করে হা পিত্যেশ !
কি জানি! হঠাৎ যদি এসে সারপ্রাইজ দিস !