জেনেছি খেলা হবে,সাড়ম্বরে উদ্বোধনী
ম্যাচ ও হলো।বেশ ভালো।
বলি,এ সময় দল বেঁধে খেলতে যাচ্ছো
নাকি?হাসি হাসি মুখ সে কথাই বলে!
বুঝেছি,মুখ দেখে।
বেশ,বেশ।উত্তম সন্দেশ।
তবে সকাল থেকেই ভেবেছি বলবো
একটা কথা।যখন দেখা হলোই কেন
আর কাজটি বাকি রাখি,বলে ফেলি।
জানো কি সেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের কথা,
‘কিভাবে সঞ্জয় যুদ্ধক্ষেত্রের খবরাখবর
পৌঁছে দিতো অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের কানে?সে
কথা জানলে হয়তো অবাক হবে সঞ্জয়
সব দেখতে পেতো দিব্যচক্ষুর মাধ্যমে’।
এখন ইন্টারনেটের যুগ।সকলের কাছে
আছে উন্নত প্রযুক্তি।তাই বলি,সঞ্জুকে
বলো,খেলার স্ট্যাটাস যেন আপডেট
করে নিয়মিত।
অপরাহ্ণ!কী জানি কেন আকাশ দেখে
ভালো লাগছে না মোটে।থমথমে ভাব।
ঝড় আসার সম্ভাবনা।
যাক গে,ফিরে আসি খেলার কথায়!
খেলায় অফ-সাইড,হ্যান্ডবল,ফাউল
এসব কে,কখন করে,জানাতে বলো।
তাছাড়া কে,কখন দেখছে হলুদ কিংবা
লাল কার্ড, কোন পক্ষ কখন ক'টি গোল
করছে হজম ও কোন কোন ম্যাচে,কে
হচ্ছে ম্যান-অব-দ্য ম্যাচ,সেসব খবর
জানাতে যেন ভুল হয় না মোটে।
আর সেতো বলার অপেক্ষা রাখে না,
ম্যান-অব-দ্য সিরিজের কথা!সেকথা
জানাতে নিশ্চয় সে ভুলবে না।
একটা খুব দরকারি কথা,বলি শোনো,
খেলায় খেলোয়াড়রা ইনজূয়ুর্ড হলেও
হতে পারে,যেমন প্রায়শ হয়।তাই বলি,
চিকিৎসক, নার্স সহ ফাস্ট-এড-বক্স ও
খুব জরুরী প্রয়োজনে অ্যাম্বিউল্যান্সকে
তৈরি রেখো।
বলি,আর একটা কথা,নিশ্চয় জানো,
ব্লাড ব্যাঙ্কে আজকাল রক্তের আকাল,
থ্যালাসেমিয়া রোগীদেরও নাকি সময়
মতো  প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা টুকু
মেটানো কষ্টকর,তাই জরুরী প্রয়োজনে
ব্লাড ডোনারও সঙ্গে রেখো।
যাও,খেলতে যখন যাবেই আর একটুও
দেরী করো না।এবার সবাই বেশ মনের
আনন্দে খেলো।