চড়ে বসেছ স্যাঁতসেঁতে চাষের জমিতে
ফসলের কোলেপিঠে,চাষীদের দৌলতে,
কিংবা কলে কারখানায় শ্রমিকদের রক্তের
বিনিময়ে উৎপাদিত সামগ্রী ঘাড়ে পিঠে।
দ্রব্যমূল্য!সামগ্রী বোঝার সাথে চললে রাতে        
রানারের মতো।নাবালক শিশু!শুরুতে
চলতে শুরু করলে হামাগুড়ি দিয়ে,কাঁদলে
বন্য শৃগাল ও লাল মুখো বানরের ভয়ে।
দেখেছি সটান দাঁড়িয়ে পড়েছ রক্তচোষা
পিঁপড়ে পা-দুটি আঁকড়ে ধরে কামড়ালে।
সড়কে দু’চার কিমি পরপর লাল সিগনালের
সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছ নির্বিবাদে।দেখেছি,
অভুক্ত বন্যরা খিদের তাড়নায় রাত জেগে
বসেছিল সেথায়।লাফিয়ে ছুটে এসে সপাটে
চড় কশালো তোমার গালে,পিঠে।রক্ত ঝরলো
গাল বেয়ে।রক্ত চোষারা ফিরে গেল নির্দ্বিধায়।  
অত্যাচারীর শৃঙ্খল পড়ে লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে বহু  
কসরত করে বেড়ে উঠলে রাতে।সূর্যোদয় হলে
দেখেছি সাবালক হয়ে পৌঁছেছ হাটে-বাজারে,
সারা রাত জেগে রানারের মতো ছুটে।
তোমাকে বাহবা দিতেই হয় পিঠ চাপড়ে।