প্রিয়তমা,
বলছি শোনো,এই দ্বীপরাষ্ট্রে এমন
অভিজ্ঞতা আর কারো যেন হয় না
কখনও।এমন অবস্থায় পড়লে বহু
কাপালিক সন্ন্যাসীরও ইচ্ছা হবে
দু’হাতে ধরে টেনে ছিঁড়তে মাথার
জটাজাল।কপাল মন্দ,নয়তো এমন
দুর্দশা হয় কি কারো কখনও?
জানো,গতকাল সন্ধ্যারাত,তোমাকে
আধ ডজন ই-মেল পাঠিয়েও পাইনি
কোনো উত্তর।রাতটা গভীর হলেই,
বাড়লো বাদুরের দুরন্তপনা।অজানা
ভয়ডরে কেঁপেছি থরথর।অনিদ্রায়
সেই সময় পায়চারি করেছি এ ঘর,
ও ঘর।
নিশাচর হয়তো বুঝেছে আমাকে
কব্জা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
ঝড়ঝঞ্জায় দুর্যোগের রাতে বসত
ঘরের পাশেই গাছের ডালে বসে
তারস্বরে করলো চিৎকার।
সেই সময় ওদের ধিক্কার জানাবো
কী?বলি,একটি অজানা আতঙ্কে
বুকের বাম পাশে ব্যাপক ব্যথা
শুরু হলো।কষ্টগুলো প্রকট হলে
শৃঙ্খল-মুক্তির জন্য ওরা ভয়ঙ্কর
সমুদ্র-স্রোতের মতো বুকে আছড়ে
পড়ে যেন মস্ত বড়ো পাথর-খণ্ডকে
সরাতেই প্রয়াসী হলো।তারপর?
কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কে রাখে
তার খবর!

        (ক্রমশ)