মলয় জেনে গেলো এই দুঃখ চিরকালের,
মঞ্চ থেকে নেমে তিনি ঘরে এসে বসলেন।
সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে বসলেন।
অথচ ওনার মাথায় নিত্য তারা সবাই আসাযাওয়া করতে পারত, শাসন করত, আঘাত করত।


মলয়ের সাথে নতুন বন্ধুত্ব হলো নুরিনের
নুরিনও একা নিঃস্ব অথচ চুপচাপ
মলয় চিৎকার করল একদিন, দুইদিন, তিনদিন...
বললো নার্সেসিস্ট, যৌনতাই বড় জুলিয়েটস...
বলেছিলো "আমি কেবল আমার মাথাটাকে চুদে দিতে চেয়েছি"।
শাসন, ভাঙ্গন, বেশ্যা, মা, প্রেমিকা  সব ভেঙে
একজন একা মানুষ
শুধু মানুষ।


নুরিন কোনোদিন কাউকে কিচ্ছু বলে নি।
নুরিন হয়ত মলয়ের চেয়ে সাহসী, বেশী সইতে জানে।
সে শুধু রাতের বেলা ঘুমুতো না, কথা বলত না।


মলয় চাইলো দুনিয়ায় ভেতর আরেক দুনিয়া বানাতে
নুরিন চাইলো একদিন সব ছেড়ে যেতে যদিও জানত যেতে যেতে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।
তাও তারা ভালোবাসলো একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো।


আমরা দুইজন পাশাপাশি বসে বললাম, মানুষ একা।
অথবা আমরা বুঝলাম, দুটো পাখি কেবল বসেই আছে আর উড়ছে না।