গ্রামের একপ্রান্তে প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে
গাছটা নীরবে অনর্গল হাওয়া দিয়ে যায়।
সবে গজানো অশথের লাল পাতাগুলো,
একএকটা কলজে গ্রাম্য তরুণ তরুণীর।
অনেক শুরু, অনেক শেষের কাহিনীতে-
জীবন্ত এক ইতিহাসের গোপন স্বাক্ষর...


ফেরিওয়ালা থমকায় ওই গাছের ছায়ায়,
পথের পর পথ হেঁটে হেঁটেই ভীষণ ক্লান্ত!
পুঁটলি হতে ঘর-মানুষের রান্না বার করে,
পাশের টিউবওয়েল থেকে এতটুকু জল।
পাশে সাজের নানা সরঞ্জামগুলো রেখে,
একটু বিশ্রামও দরকার, হাতে মাথা, ঘুম ...


গ্রাম্য অপরিচিতার ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
কেমন মানুষ গো তুমি?একটু সাড়া নেই?
কখন থেকে দাঁড়িয়েই, একটু তো দেখো!
একটা শাঁখা দিও গো, টেকসই যেন হয়।
দেখো বাপু, ব্যাথা দিও না পরাতে গিয়ে।
অবিমিশ্র বিশ্বাস ও আন্তরিক এক টান...


সুখস্মৃতি ভরা দিনগুলোও এখন অতীত,
একই ঘরে বন্দী রয়েছে, আসবাব যেন!
দীর্ঘ দিন কেটে গেছে, মূলধনও নিঃশেষ,
আবারও বেকার, বাইরের আলোয় ভয়,
পাশাপাশি ভবিষ্যত অন্ধকার-আতঙ্কে!
ভুলেও আর কোন স্বপ্নসুন্দরী আসে না.,,