আমাদের প্রিয় নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
তাঁর ছিলো ভারি মিষ্টি খাবার শখ
তাই হয়তো সুমিষ্ট খোরমা দিয়েই,
ইফতার শুরু ছিলো তাঁর মত
ওটাই হয়ে গেলো আমাদের সুন্নত


তো একদিন এলেন, তাঁর কাছে এক মা
“কি করি বলেন তো রাসূলে পাক (সাঃ),
আমার সন্তান শুধু মিষ্টি খেতে চায়
বড় বিপদে পড়েছি, এত সামর্থ্য কোথায়?”


সব শুনে, নবীজী (সাঃ), রইলেন চুপ
বিপদে পড়েছেন শুধু মা’ই তো নন
আমাদের প্রিয় নবীজীরও যে মিষ্টি হরা মন
তারপর বলিলেন, “আসো তিন মাস পর
তখনই দিবো উপদেশ, তোমার সন্তানের ’পর”


প্রিয় নবীজী (সাঃ) মোদের, দিলেন মিষ্টি খাওয়া,
বন্ধ করে; তিন তিনটি মাস ধরে
আল্লাহ্'র সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সহজেই পারে
সময় ফুরোলে, এলো মা নিয়ে তার সন্তানেরে


কাছে ডেকে নিয়ে, কপালে চুমো দিয়ে, বললেন তারে
“প্রতিদিন মিষ্টি খেতে, জ্বালাস নে তুই পুত্র, তোর প্রিয় জননীরে,
প্রতিদিন তোকে, মিষ্টি কিনে দিতে, তার যে সামর্থ্য নাইরে!
মায়ের কষ্ট তুই, তুলে নে বুকে
বড় হলে তুই, থাকবি মিষ্টতা ভরা জীবন সুখে”


এই হলো মোদের, প্রিয় নবীজীর, মিঠে হাদিসের, মিষ্টতা,
আজ হয়ে আছে, দুনিয়াতে এক, উজ্জ্বল প্রবাদবাক্য তা


“নিজে যা করো, তা অন্যরে করতে, মানা করো না, (শোভা পায় না)”


সে অধিকার তোমায়, দেয়নি যে কভু, আমাদের আল্লাহ্ তালা
নিজে শুদ্ধ হলেই, ছড়াতে পারবে তুমি, তোমারই শুদ্ধতা


প্রিয় নবীজীর,  নামে আমি আজ, তব হৃদি মাঝে, দিলাম বুলায়ে, মিষ্টতা
চলি তবে ভাই, আল­্লাহ্'র নামে যাই, মনে রেখো তুমি, এ হাদিসের, মর্মকথা।


(১৭.০৫.২০২০)


(*কবি চাঁছাছোলা কে উৎসর্গ। উনি আমার কবিতার মন্তব্যে এ হাদিস উল্লেখ করে বিদায় নেবার পরই, কবিতার পঙক্তিগুলো সৃষ্টি হলো মননে। আমি যেভাবে জানতাম, বাবা-মা দুজনেই এসেছিলেন, কিন্তু কবি যেহেতু বললেন মহিলা, তাই শুধু মা’কেই আনলাম কবিতায়, সেটা আরো ভালো হলো।)