ফোনে অনেক কিছু বলেছিলাম প্রিয় কবি। মনে আছে!
আমি রাজা হলে সেগুলিকেই বাস্তব করে দেখাবো।
আরও একটা নতুন প্ল্যান করে ফেলেছি। এরকম,
যেহেতু সরকারি উদ্যোগে স্বনির্ভতার যত প্রকল্প
ভ্রষ্টাচার আর ব্যাঙ্কের নাক উঁচু স্বভাবের জন্য
মাঠে মারা যায় , সেগুলি বন্ধ করে দেব।
তার বদলে, প্রতি শহর নগর আর প্রতি গ্রামে সরকারি উদ্যোগে
বৃহৎ শিল্প ও এন্সেলারী শিল্প গড়ে তুলে
সে শহর বা গ্রামের সকল বেকারদের নামে
উৎসর্গ করে দেব তা।
মানে সেই শিল্পে যুক্ত সবাই মালিক।
যত টাকা লাভ হবে বছরে,
২৫% নেবে সরকার বিনিয়োগ করা টাকা উঠাবার জন্য
আর বাকি ৭৫% টাকা আর সবাই সম পরিমানে
নিজেদের মধ্যে ভাগ বণ্টন করে নেবে।
মানে ম্যানেজার থেকে শ্রমিক চৌকিদার
একই পরিমান টাকার ভাগিদার হবে।
শিক্ষা নাই বলে সে চৌকিদার কিন্তু হক হবে একাকার।
ক দিন লাগবে বলুন তো
বেকার সমস্যা দূর করে দিতে এ দেশ হতে!
কবে দেবেন রাজত্ব!
বলুন প্লিজ।


(যেহেতু এখানে সব লেখাই পেটেন্টেড তাই আমার আবিষ্কৃত এ পন্থাও কেবল মাত্র আমার। যদি কোনও দেশ এ পন্থা ব্যবহার করতে চায় তো সে স্বত্ত আমার থেকে কিনতে হবে। কিমত ১৩০ কোটি টাকা। এই একশো ত্রিশ কোটি টাকা আমি আমার দেশের একশো ত্রিশ ক্রোর লোকের মাঝে এক এক কোটি টাকা করে বণ্টন করে দেব। আমার দেশ হবে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। তখন যেটা সবচেয়ে অসুবিধা হবে সেটা নির্মাণ কর্মীর। তাদের আনা হবে বিভিন্ন দরিদ্র দেশ হতে আর বড়লোক বানিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে ততপশ্চাত আরও গরিব জনকে সরকারি টাকায় উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে মানে আমার পণ হবে সমগ্র বিশ্ব।আর কোনও দেশ আমায় টাকা না দিয়ে এ পন্থা গ্রহন করলে ভারত সরকার উদ্যোগী হয়ে সে দেশের থেকে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে মামলা করে আদায় করবে ২৬০ কোটি টাকা, মানে এক একজন ডাবল পাবে মানে দুই কোটি।)


(পরিকল্পনা পরিমার্জিত হচ্ছে, বড় লোকেরা এ প্রকল্পের তালিকায় আসবে না আর পরিবারের মূল সদস্যকেই শুধুমাত্র দেওয়া হবে। তাহলে বোধ করি এ টাকায় সঙ্কুলান হয়ে যাবে। এক কোটি না হলেও কয়েক লাখ করে তো দেওয়াই সম্ভব।)


মানবতাবাদী লেখা, “ভাবতে পারেন!”


অথচ ভাবি এ দিবস টা যদি থাকতো; সর্বহারা দিবস!
আর সেই দিনে ধনীরা তাদের খাওয়াতো,
দান ধ্যান করতো, ধারণ করতো,
দিক দেখাত কর্মের, তাহলে কতই না ভালো হত।
প্রতিযোগিতা চলতে পারত আহাম্মকি দেখাবার,
নিজেকে জাহির করবার আর তাতে
আখেরে উপকৃত হত সর্বহারারা।
ভাবতে পারেন!