"কোটির খেলা".


রাতকামিনী মন্দাকিনী ভীষণ জ্বরে কাবু
তালের পাতায় সিদ্ধ কচু পচায় রাঁধে সাবু।
রাধে রাধে অনেক সাধে তাও দিল নি রা
রামুর চাচা তাল কানা সে লাঠির দিল ঘা।
ঘাসের ডগায় শিশির জেমুন জ্বলজ্বলিয়ে জ্বলে
রামছাগলের নাতির দেশে সবুর মিয়ার কলে।
আস্ত পাঠা শলার ঝ্যাটা এমুন দিল মার
দশ গাঁয়েতে চর্চা তার ই খুললো মনের দ্বার।
দ্বারীর দেশে বাজলো সানাই ঘড়ির কাটায় আট
বললো দু দশ; বিষ লক্ষ; কোটির খেলায় মাত।


"উল্টা দেশ".


এক যে আছে উল্টা দেশ আজব গজব সব ই;
বলিস কি রে! সেই দেশেতে আজ ওই তুই যাবি।
জানিস, সেই গাঁয়েতে যাইতে গেলে পা দুই টা খাড়া;
ঘাড় টা সিধা মাটির পানে মাথার বলে দাঁড়া।
হাত দুটিতে টানবি মাটি পিছন পানে যাবি;
আর কিছু না এইটুকুন ই জ্যান্ত আমার দাবি।
খাবি! শুনেই খিদে পেলই জুদি মিষ্টি হাওয়া দেই;
তার সাথে শুন গরুর চোনার দিচ্ছি বানায় লেই।
সেই দেশেতে মুদলে আঁখি দেখতে পাবি সব;
বন্ধ কানে শুনতে পাবি সেই কি কলোরব।
জল ভাতের ঐ সেই গাঁয়েতে পগাড় দিলি পাড়!
উল্টা দেশের হীরক রাজা মুচড়ে ভাঙেন ঘাড়।


"মান"


পেটুক বাবাই রসুই ঘরে বাবুই পাখির বাসা
খপ করে টান মারলো যেই খাবার ছিল ঠাসা।
টুপ করে মুখ খুলেই বাবাই ঝুপুর ঝুপুর চালে
মিষ্টি কড়া খেয়ে বাবাই বিছানাতে ঢলে।
বৃত্ত তার ভালোই ছিল ডিমের মত গোল
সর ছিল তার ঠোঁটেই লেগে তাতেই গন্ডগোল।
মা ছিল তার বেজার রাগী থাবড়ে করে লাল
ডিমের কুসুম চোকলা সমেত পাঁচটা আঙুল গাল।
বাবাই ছিল ঠাম্মা তার ই জিম্মি ছিল প্রাণ
কটু কথায় ঠাম্মা রবে ধরলো সুরের গান।
এই টুকুন ই বাচ্চা ছেলে এমন করে মারে!
রাক্ষুসী রে মানুষ না কই এমন মণিহারে।
বন্ধ চুলা রসুই ঘরে ঝুলায় মায়ে তালা
খাওন দাওন বন্ধ ঘরে খাচ্ছে সবাই লালা।
রাম রাবণের যুদ্ধ শুরু মুখর দিনে রাতে
মায়ের কথা সাফ সাফ সাফ মারবো বুড়ি ভাতে।
হটাত নিনাদ উঠলো বেজে করোনার ঐ গান
সব ভুলে সব বদ্ধ ঘরে ভেঙেই গেলো মান।