(বি।দ্রঃ, "যাচ্চলে", লেখাটি পাঠ করলে না হেসে পারবে না কেউ, মন খুলে হাসতে হলে, "যাচ্চলে", লেখাটি পাঠ করে নিতে পারেন একবার। )


"আমি সেই গান গাই"


আলোর গতি উড়তে আকাশ অংশুমালীর পানে
মন ভেসে যায় উছল হৃদে; তার ওই ধরা
গানে।
যে গানেতে উদয় রবির অস্ত যে যায় পাটে
কল কল কল বয় যে নদী, লহর ওঠে
ঘাটে।
যে গানেতে ধন্য জীবন তার ওই করুণায়
দিব্য জ্যোতি প্রাণের গতি, বিবিধ ধারায়
বয়।
হারিয়ে আকুল ব্যাকুলতার দুঃখ দরদ শোক
আঁকতে ছবি হারিয়ে কবি, কল্প তার ওই
লোক।
মানব বেশের দানব প্রাণে কশায় দিতেই ঘাত
হা রে রে হল্লা বোলে, মসির ঘাতেই
কাত।
অবাক ধরা প্রকৃতির ওই মুগ্ধতার ওই রেশ
ফুটিয়ে সে ফুল অলির গাথা; নিত্য তারই
ক্লেশ।
শর তূণেতে বাঁধতে রাবণ আলোর বেগেই চলা
পায়ের তলে দলতে তাদের; সাদায় কালোয়
বলা।
মানবতার জয় গানেতে তানপুরা তেই টান
ছুটিয়ে ঘোড়া তীব্র বেগে, বীণার তারেই
গান।
অনাথ যারা পথেই রয় দুঃখ তাদের গীত
তাদের পাশেই রইতে সদাই, তাদের সনেই
প্রীত।
আলোক বাহিত শুভ্র জ্যোতি ছড়িয়ে দিতেই ধরা
রব দিয়েছেন কাজটি আমায়; তাই তো করি
ত্বরা।


(উপরিউক্ত লেখাটির আমার করা ইংরেজি অনুবাদ)


“The song I sing”


My mind flies at the speed of light
Towards the eternal; to sing its glory and
Those who are evil, to give them
A big bite.
To praise its divine power; by which
The sun rises and goes down
The river flows in full suing
In village and town.
To praise the power and the grace;  
By which human is blessed
And the living creatures with such a variety
So nicely placed.
Sometimes my mind flies in grief
Watching the pain of the people
I can't utter a word in my
Lip!
I make the revolt against the giants
To jump over them by the black & white
Paints.
My mind flies with the beauty of nature
I paint its glory and
The history of pollution of this
Wonderful feature.
I sing the song of the triumph of humanity
I fly sharply by the speed of horses
To remember human their power;
And their ability.
Those who are orphaned and the Proletarian
Brought up in the streets and lanes
I love them and keep mine along with
Them.
It is my great fate that the Almighty God
Has been engaged me in this direction
To spread the knowledge and wisdom
Towards the humanity; as quick as I can
I think mine blessed and
I don't waste time to pay
Attention.


“গিফট”,(শিশুতোষ কবিতা)


এটাও ছিল ওটাও ছিল কচুর বনে কবি ছিল
তার নাকেতে নরুন নাকী কোলা ব্যাঙই ডাকছিল।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর নাকের ডাকে কবির নাকী রাগ ছিল
হুতুম প্যাঁচা তার বাড়িতে নিমন্ত্রণের হাঁক ছিল।
কবির ঝোলায় আস্ত বেড়াল ইঁদুর নাকী খাচ্ছিল
বই খাতা খাক কলম কালি তারাই নাকী আঁকছিল।
আঁকবি তো আঁক মানা কোথায় কেনই তারা হাগছিল
হাগা মুতা বাড়ন সেথায় কবির সে তাজ পাগ ছিল।
ভিজেই তোয়াল গামছা লোটা উড়নি জলে ভিজছিল
টের টি পেতেই কবির মাথায় আগুন যেন বাজ ছিল।
আকাশ কালো অন্ধকারে ব্যাগ সে তার হাত দিল
ককিয়ে উঠে রক্ত ঝরে ইঁদুর তাকে কামড়ে ছিল।
দুই বেলা দুই সুঁই নেওয়াতে কবির ভীষণ ভয় ছিল
সুঁই টি দেখেই লম্বা অনেক থর থর সে কাঁপছিল।
তাই তো ভায়া আর লেখেনি আধুরা সেই গল্পখানি
অনেক হলো এবার চলো পড়াশুনায় মনটি আনি।
মনটি, যাও বই খাতা নিয়ে আসো.........।
আজকে ভূগোল গোলক ধাঁধা বিশ্ব টাকে বোঝাবোই
কোথায় ক্যামন জমিন টমিন সেই পাতা ভাই খুলবোই।
কী হলো ভায় ড্যাবড্যাবিয়ে গোল্লা কেন চক্ষুখানি
ভূগোল কী ঘুরায় মাথা তাই এমনি দিল দুখানি।
আচ্ছা ভায়া অঙ্ক ক্যামন লাগতে কী ভায় ভালো
দু চোখ পানি! অনেক খানি মুখরা কেনই কালো!
তোমার বাবার অনেক টাকা দিতেই বলো টিপস
প্রশ্ন আমি ফাস করে ভায়, তোমায় দিব গিফট।


"রসের বড়া", (রম্য রচনা)


বেগুন পটল রঙ এই সাজে, কুমড়া বাড়ে সুই
খুন্তি দিয়ে নাড়া চাড়া; জলেও না যায়
কই।
নাদুস লাউ ঢামসা মোটা বিরাট আকার তায়
হরমোনের ওই কারিগড়ি; সবাই, রান্না করে
খায়।
কীটের বিষে তরল গরল নাড়ি ভূড়ির জ্বর
জঠর ভরা পাপ সে ঠাসা; ঘামেই দড়
দড়।
ঘাতক ব্যাধি কোপ মারিতে লক লক লক করে
কিডনি কারুর, কারুর হৃদয়; কর্কট রোগ
ধরে।
কান্ত পিশির শান্ত ছাওয়াল বংশের ওই বাতি
হসপিটালে লড়াই করে মরলো কাল ওই
রাতি।
কক হেনেতে হানছে ঔষধ এন্টিবায়োটিক
রোগ প্রতিরোধ ধ্বংস শরীর; টিকটিকি কয়
ঠিক।
ডিমের কুসুম পলিমারে চায়না বানায় খাস
জ্যান্ত ভেজে কিংবা বয়েল, খাচ্ছি মোরা
রস।
আধেক জীবন আল্লা নিল আধেক নিবে বিষ
গরল সে বাস সইতে নারি; বিধায়
অহর্নিশ।


“বিস্মরণ”


জীবন সে তো মূল্য অনেক রব দিলো সে দানে
খেলতে দিল ময়দানেতে জগ জনতার গানে।
যে জন মূরখ মূর্খ অতি
হৃদয় কালোয় প্রতিভাতি,
বিস্মরণেই যায় অতলে; মরলে সে যে প্রাণে।


“মর্দ”,(মানবতাবাদী লেখা)


জড়ায় জীবন ছড়িয়ে আবির
রং ছড়িয়ে যাই; প্রেমের ধারায়
বইতে ধরায়; অমর হতে
চাই।
মুক্ত যেথায় বইবে বায়ু
রইবে না দুখ দর্দ; গড়তে তেমন
জীবন ধরায়; পণ করেছি
মর্দ।
দানব সেথায় রইবে নাকো
রইবে সবাই সুখে; মানবতার
বোলটি তুলি; রইবে সাথে
দুখে।  
স্নিগ্ধতার ওই আবেশ মাখা
রাখালিয়ার বাঁশি; জীবন তারণ
রঙ্গ খেলায়; রইবে সবাই
হাসি।


“যাচ্চলে”


হটাৎ দেখা বন্ধু দোকান, ঔষধ কেনে সে
হাঁকিয়া উঠি কইলো বন্ধু; তোমার; কী
হয়েছে?
বন্ধু কহে তেমন কিছুই হয় নি রে ও ভায়
ধরছে মাথা করছে ব্যথা, টন টন
রে তাই।
এ আর কী বন্ধু কহে; সেদিন আমার মাথা
একই রকম, ঔষুধ ছাড়াই; কমলো আমার
ব্যথা।
আমার স্ত্রী ওই, নরম হাতে টিপলো খানিক ক্ষণ
কোথায় ব্যথা উবেই গেল, ঘুমায় কিছু-
ক্ষণ।
তুমিও ভায়া এমনি করেই ছাড়াও তোমার মাথা
অসুদ টসুধ লাগবে না ভাই, শোনই আমার
কথা।
সে না হয় শুনি বন্ধু; শুধাই তোমায় কই
তোমার স্ত্রী কোথায় এখন, জলদি বলো
সই।


যাচ্চলে!


“কালসাপ”


বাপ রে বাপ! কাল সাপ, এমনি কী কেউ করে
জলের জাগায় এসিড জুদি; দেয় ঢেলে দেয়
গলে!
বল হরির দেশের মালা ফুল চন্দন বিল্বে
শ্মশান বাসি হতেই হবে; হয়েই যাবে
হিল্লে।
হিলান খুটির তলত ঘর, বাঁধিস নে তুই আর
মাইরে তোরে ফেলবে রে বাপ; ও যে কাল
সাপ।


“গুজব”


অ কত্তা কইছ্যান কী! কারে ছাইড়ে ধরেন কারে!
অ ত নয় ছ্যাওয়াল ধরা; ঘুইরত্যাছিল নদীর
ধারে।
বিদেশ গাঁ'য়ে অর অই বাড়ি ব্যাচতে আসে শাল
হেলার পো'রে ধইরেন না; ছাড়াইয়েন না
ছাল।
হুকুম আছে হুনেই নাই গুজব রটান ক্যান
হ্যাদায় প্যাদায় পাবলিকেতে, ভাইঙ্গা দিবেন
ঠ্যাং!
গুজব হোতি দূরেই রন, কত্তা বলি কই
পাবলিকেতে অহন ধোলাই; বলির পাঁঠা
হেই।