"তোমায় হারাবার যন্ত্রণা"


বড় আদরে মানুষ হয়েছি এই আমি!
বাবা-মায়ের আদরের ছিলনা সীমা!
কোন কিছুর ছিল না অপূর্ণতা।
ছিলনা কোন শাসন!
নিজেকে ভাবতাম সবার সেরা।
অহংকার আমায় করেছিল গ্রাস!
অন্য সবাইকে দেখতাম ছোট করে।
তুমিও বাদ যাওনি আমার অহংকারের বেড়াজাল থেকে!
করেছিলাম তোমায় অনেক অপমান শুধু তুমি গ্রামের ছেলে বলে।
সবসময় অন্য জনের যন্ত্রণা দেখে হাসতাম কেননা কোনদিন বুঝতে হয়নি যন্ত্রণা কি?
ভাবিনি এইভাবে একদিন ভেঙ্গে যাবে আমার সকল অহংকার!
নিজেকে বাঁধলেও অহংকারের বেড়াজালে আমি তো একটি মেয়ে।
একটি মেয়ের কাছে তার “সম্মান” অনেক বড়!
একদিন রাস্তায় কতগুলো কাপুরুষদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলে আমায়।
সেইদিন থেকে নিজেকে নিয়েছিলাম গুটিয়ে।
তোমায় কতো করেছিলাম অপমান একদিন; আজ সেই তুমি;
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে আমায় নিয়েছো কাছে টেনে।
দেখিয়েছো এক নতুন জীবন; বাঁচবার অনুপ্রেরণা।
তুমি আমায় বলেছিলে, “বাহিরের জগত ও তার মানুষগুলোকে ভালবাসতে শেখো!”
সেইদিন থেকে তোমার প্রতি আমার এক ভাললাগা কাজ করতে লাগলো।
ভালবেসে ফেলেছিলাম তোমায় আমার মনের অজান্তে!
ভেবেছিলাম তোমায় নিয়ে দেখবো জগতাকে!
তাই তোমায় করেছিলাম ফোন!
সেজেছিলাম তোমার প্রিয় সাজে!
তুমি ফোন ধরে বললে, “আমি আসছি তোমার কাছে”
যেইনা তুমি রাখতে যাবে ফোন হঠাৎ “তোমার চিৎকার”।
তারপর সবকিছু নিশ্তব্দ।
আমি ফোন রেখে ছুটে গেলাম তোমার কাছে।
দেখলাম গিয়ে তোমার রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা।
আমি চিৎকার দিয়ে হয়ে যাই অচেতন।
তারপর আর কিছুই নেই মনে।
যখন ফিরেছে আমার চেতন করলাম তোমার শূন্যতা অনুভব।
তোমায় হারাবার মধ্য দিয়ে এই প্রথমবার বুঝলাম;
“যন্ত্রণা” কতটা মানুষকে করে নিঃস্ব আর একাকী।