স্বপ্নেরা বুকে হাঁটে;  বিষণ্ণ দিনগুলো সোচ্চার  
শিমুলে পলাশে রাঙা দিগন্ত হটাত অন্ধকার
শালের সবুজ পাতায় হাসি নেই কেন
প্রশ্নটা করি কাকে সব নিস্তব্ধ যেন
কুহুটা ডেকে ডেকে সারা; বুকুল বনে  
প্রেমের পিয়াসী ডাক কেউ শোনেনা কানে  
নদীটা বইছে আগের মতই; ভরছে জোয়ার    
কুলু কুলু হাসি তার কেউ নেই শোনার ।


দুরুদুরু বুকে;  চেয়ে দেখি ঐ আকাশটাকে
কালপুরুষ ঠিক আছে; কে পাল্টালো পৃথিবিটাকে
নিরব বালুকা বেলা, ঢেউয়ের আলপনায় জাগে ছবি
রং ছড়িয়ে সকালে বিকেলে আসে যায় রবি
শান্ত সমাহিত, যেন পৌঁছে গিয়েছি নিঝুম অরণ্যে
নিজের শ্বাসের শব্দে খুঁজি অন্যকে; আনমনে ।


ঝরা কাঁচা আম, পড়ে আছে ধুলোয় অনাদরে  
কেউ নেয়নি তুলে; পায়নি জায়গা রসনায় সাদরে
ঢাকের আওয়াজ আসছে না কানে বসন্ত গমনে    
পান্তা ইলিশে মাতবে কি বাংলা বৈশাখ আগমনে
এই প্রথম, ম্রিয়মান নতুন খেরোর খাতা সুচনার হর্ষ  
.নতুন পোশাকে সেজে আনন্দে উল্লাসে হবে কী নববর্ষ  
যদিও বারোতে তেরো পার্বন আছে বাঙালির ঘরে ঘরে  
তবুও এমন প্রশ্ন কখনো আসেনি সিলেবাসের বাইরে।


সোনারপুর
১২.০৪.২০২০