সমগ্র বিশ্ব জুড়ে চলছে গভীর সংকট।
করোনার ত্রাসে গৃহ বন্দি কত জনগণ
অনাহারে কিংবা অর্ধাহারে করছে দিন
যাপন।অতিশয় কষ্টেও দীর্ঘদিন করছে
আত্মনিয়ন্ত্রণ।
তার মাঝে করোনা বিদায় না-নিতেই
কোথাও তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ
প্রশাসনের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ হয়তো
ভুগছে এখন গণ-বিভ্রমে।তারা এখন
এই করোনা গ্রস্ত রোগীদের নিজেদের
গৃহের পরিবেশে রেখে করতে চান এই
রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত।
এই খবর শুনেই বিজ্ঞ জনগণের চক্ষু
চড়ক-গাছ।কেহকেহ ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।
পরিবেশে সংক্রমণের কি ভয়ানক ভয়,
এই অবস্থায় আত্মীয় পরিজনদের মাঝে
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের স্বতন্ত্রভাবে
রাখা সম্ভব কিনা,সংক্রমণ ঘটবে কিনা,
সেথায় রোগীদের সু-চিকিৎসার বন্দোবস্ত
রয়েছে কত,জানি না প্রশাসক সে-বিষয়
কী দেখেছে ইদানীং চালশে-পড়া চোখে।
বুঝি না তার মতিগতি,আর কী যে ভাবছে
এই ঘোর সংকটে।
দেখি,জনৈক কাপালিক রক্ত তিলক পরে
ভাবছে,অবসাদে ভরাডুবি বা জীর্ণ ভেলায়
ভাসমান না হলে,এই গভীর সংকট কালে
কে,কবে পরিণাম না-ভেবে এরূপ সিদ্ধান্ত
নিতে পারে?
ভাবছে,মানবতার খ্যাতিরে প্রশাসন এখন
ক্ষত নিরাময়ে স্নেহে ব্যথিত জনের পাশে
থাকতে কি ভুলে গেছে?