মনে হয় কোন এক দুঃস্বপ্নের নগরে সরীসৃপের
মতো বেঁচে আছি সুড়ঙ্গের ভিতর। শ্বাস-প্রশ্বাস
নেওয়াও কষ্টকর।যখনি গলা বাড়িয়ে সুবিশাল
আকাশকে দেখতে চাই, মেঘাচ্ছন্ন দেখায়।
স্রষ্টা যেন বুঝে নিতে চায় অদ্যাবধি মানুষের
কৃতকর্মের সব হিসাব নিকেশ।এযাবৎ তাদের
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে এই বিশ্বের আর কতটুকু
রয়েছে অবশেষ।
এতকাল স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে গরিমার
সর্বোচ্চ শৃঙ্গে বসে তারা মেতেছে প্রকৃতির ধ্বংস
লীলায়।জলে,স্থলে,অন্তরীক্ষে সব জীবদের প্রাণের
স্পন্দনটুকু থামাতে চেয়েছে অবলীলায়।
প্রাকৃতিক সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেরা  
করেছে কাড়াকাড়ি।দেখালো তারা গা-জোয়ারি।
বোঝেনি তখনও দুর্যোগ আসছে ভারী।
প্রকৃতি ধিক্কার জানালো বারবার।শোনেনি কখনো
সে কথা।বরং সামনে ছুটে চললো যেন মনুষ্যত্ব
বিহীন একরোখা গণ্ডার।দম্ভে বলীয়ান,কখনো কি
হার মানতে চায়?
অশনি সংকেত ভেসে এলো ইথারে।ধরা পড়েনি
সেসব মনুষ্য সৃষ্ট সিগনাল টাওয়ারে।এখন সুদূর
থেকে অদ্ভুত উল্লাসে ছুটে আসছে মহামারী করোনা।
দেখছি ওরা হিংস্র, প্রতিশোধ পরায়ণা।
বোলতাদের মতো হূল ফোটাচ্ছে মানুষের শরীরে।
পাথরের মতো বুকে চেপে বসছে এক রাশ যন্ত্রণা।
আজ সবাই বুঝছে,পড়েছে মহা ফাঁপরে।
মানুষ মনকে কি করে বোঝাবে কৃতকর্মের দায়?
বেড়িয়ে আসছে তাদের দীর্ঘশ্বাস।বেয়ারা করোনা
পেতেছে জাল।মৎস্যজীবীদের মতো ওরা এখন
করছে মানুষ শিকার।
মৃত মানুষদের পচাগলা দেহাবশেষ খুঁটে খেতে দূর
থেকে দল বেঁধে ছুটে আসছে সহস্র কালো বিড়াল।
বিভ্রান্ত এই মানব জাতির বিশ্বজোড়া সাম্রাজ্য আজ
ছারখার।লতাগুল্মের মতো তাদের দুর্বল ভাবনাগুলো
আজ করোনার দংশনে ক্ষত বিক্ষত।