প্রিয়তমা,
আজকে এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটলো চৈত্রের
দুপুরে।হঠাৎ ই ছেঁড়া-কম্বলের মতো কালো
মেঘে ছেয়ে গেল সারা আকাশ।ছোট-বড়
বহু ফুটো ছিল কম্বলের গায়ে।
তখন ভেবেছি বসে,এখানেও এলো নাকি
কালবৈশাখী।দেখেছি চারদিক জুড়ে প্রবল
হাওয়ার সাথে ছুটলো ঝরাপত্র ও ধুলো
বালি।
বেচারা লোডশেডিং,সে বাদ যায় নাকি?
-মোটেই না।বাদ যাবে কেন?সেও এলো,
সাথে সাথে।
ভাবো কী ভয়ানক পরিস্থিতি,সেই সময়।
ঘরে-বাইরে অন্ধকার।তখন খুঁজে পাইনি
লাইটার।আলোটা জ্বালবো অন্ধকার ঘরে,
সেই উপায়ও ছিল না আমার।
আকাশ থেকে তখনি আসতে শুরু হলো
মেঘদের গুরুগুরু ধ্বনি।মনে হলো,আমি
একা ঘরে বন্দী দশায় শুনেছি প্রেতদের
ফিসফিসানি।ভয়ঙ্কর পরিবেশ,আমি একা,
আমাকে চেপে ধরলো ভয়।আমি নির্বাক,
বের হয়নি কণ্ঠস্বর।প্রিয়তমা,সেই সময়
ঘন অন্ধকারে দু’হাতে খুঁজেছি তোমাকে।
বিভ্রান্তি হলো এতোটাই,তুমি যে বহুদূরে,
সে-কথাও ছিল না মগজে।
প্রিয়তমা,সন্ধ্যা গড়ালে ঝড়েরও অবসান
হলো।সেসময় মনে হলো,খুব শীঘ্র হয়তো
আবারও আসবে কোন বড় ঝড়।
তুমি আগেই জেনেছ,লক ডাউন ঘোষণা
হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিদেশ-বিভূঁইয়ে
রয়েছে কী প্রতিকূল পরিস্থিতিতে।
এখন বিভূঁইয়ে এভাবে থাকাটা নিরাপদ
নয়,মনে হয়।মেঘকুণ্ডলীর মতো দুশ্চিন্তা
মাথার মধ্যে জটলা করছে এখন।আতঙ্ক
বিঁধছে একেবারে বুকের ভেতর।
বাইরে পথেঘাটে টহলদারি পুলিশের ভয়।
বাড়ির বাইরে যাতায়াতে অন্তরায়।এখন
এই অবস্থায় কী করবো সব ভেবেচিন্তে
জানাবো তোমাকে।চিন্তা করো না,মোটে।  
লেখা বন্ধ রাখছি,এবার।
                                  ইতি
                           তোমার প্রাণেশ্বর