হাতচিঠিটা দুপুরের ডাকেই এসে ডাক দিলো।
ধ্যাবড়া কালি দেখেই কেমন যেন মনে হচ্ছিল,
কোথাও কিছুটা শিশিরের ছোঁয়া ছিল এককোণে।
পড়তে গিয়ে লেখাও টুকরো কথায়  ঝাপসা হচ্ছিল,
লিপিকা ভাঁজে ঢেউগুলো অনেক দিনের  চেনা ...


ছেলেবেলা কাগুজে বিমানভ্রমনে যাত্রার শুরু।
নিতান্তই পরিস্থিতির চাপে সবটা আজ যান্ত্রিক!
এখন বাতাস হাতড়েও সাদা পায়রা এগোয় না,
গতির যুগ অনর্গল ঘুরেই যায় ঘন্টার পর ঘন্টা।
শুধুই দেখে যাচ্ছি, ঢেউ ভাঙে,গড়ে আবার ভাঙে...


আর ইচ্ছেও করে না শব্দসঞ্চয়ন বা কোটেশন...
কারো উদ্ধৃতি দিয়ে বিরক্ত করবার সাহসও নেই!
তা ছাড়া খুবলে খাওয়া বিদেশী বুলির ধাক্কায় -
সেসব পুরোনো তুলি-কলম নিঃসঙ্গ হেডলাইন।
তবুও খোলাচিঠিটা হাতে! দেখছি আর দেখছি...


সব চিঠি জুড়েই বেশ কিছু না চেনা ফুলের গন্ধ ...


( গৌ.আ ,শব্দ যখন )