কাদের আলী কাদের আলী করছো কি ভাই একা একা ঘরে?
আরে দাদা, বউটা আমার কদিন ধরেই ভুগছে উদোম জ্বরে।
  
জ্বর হয়েছে তবু কেন আছে ঘরে পড়ে,    
যাও না নিয়ে ওরে হাসপাতালে যাবে অসুখ সেরে।  


বাচ্চা দুটো বড়ো ছোট দেখার তো কেউ নেই
হাত পুড়িয়ে বানাই খাবার দু'বেলা দুটো দেই।        


বাচ্চা দুটোকে দাও আমায় থাকবে আমার ঘরে,
খেলবে আমার ছেলের সাথে খাবে পেট ভরে।


চিন্তা করো না ছেলেদের নিয়ে দেখবে আমার বউ,
তোমার সাথে যাবো আমি আর যদি না যায় কেউ।  

তাড়াতাড়ি করো ভাই জান আর করো না দেরি,
বউকে নিয়ে চলো হাসপাতাল ডেকে আনছি গাড়ি ।


হাসপাতালে গিয়ে দেখি বিরাট লম্বা লাইন,
কোন ক্রমে হলো ভর্তি হেথায় কড়া আইন।
      
দেখছি সবার মুখেতে মাস্ক দাঁড়িয়ে আছে দূরে দূরে,
ধুচ্ছে বারবার নিজেদের হাত থাকছে একটু দূরে সরে।


চেনা মানুষ আজ অচেনা থাকছে সবাই সবাইকে এড়িয়ে,  
সামাজিক বন্ধনটা দেখছি বড়ো ঠুনকো প্রকট হয়ে আসছে বেরিয়ে।

একদিন পরে এলো রিপোর্ট হয়েছে ওর বউয়ের করোনা,  
বলছে ওকে কেউ কেউ এ রোগ তো আর সারে না!


ভয়ে মুখে সরছে না কথা ভাবছে আসবেনা বুঝি আর ফিরে
বুঝাই আমি এ রোগে মরে কম দেখবি ফিরবে দিন দশেক পরে।


দুদিন পর এলো খবর  কমেছে ব্যথা জ্বর,
আস্তে আস্তে হলো সুস্থ হলো ছুটি চৌদ্দ দিন পর ।


আজ কাদেরের মুখে হাসি ধড়েতে ওর এসেছে প্রাণ,
বলছে, ওহে বাড়ুজ্জে মশাই ভুলবোনা কভু তোমার দান।


মানুষ হয়ে মানুষের পাশেতে থাকাই জানি কর্তব্য,  
ভুলে যায় আবার সেই মানুষই উড়ায় কটু মন্তব্য।


জীবন একটাই, নয়তো দুটো করতে হবে মানুষের তরে কাজ,
তবেই তো আল্লা করবে রহমত বেলা শেষে পড়বেনা মাথায় বাজ।