ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে,
এখনো ফাঁকফোকর খোঁজে ঘাপটি মেরে বসে থাকা রাজাকারের বাচ্চারা ছদ্মবেশে।
বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ওই হায়েনার দল এখনো রয়েছে ওৎপেতে,
যেকোন বিষয়ে সুযোগ পেলেই ছলে বলে কৌশলে চায় স্বার্থ সিদ্ধি করতে।


রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের স্বার্থ রক্ষার তরে,
এখনো কিছু স্বার্থান্বেষী, দেশপ্রেমী জনতার অধিকার হরণের জন্য ওদের পক্ষে লড়ে।
বাংলা মায়ের স্বাধীনতা চায়নি যারা, তারা কেন প্রতিটি সেক্টরে এই স্বাধীন দেশে,
প্রতিবাদীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করে রয়েছে এখনো রাজার বেশে।


কী অদ্ভুদ তাই না! ধর্মের নামে ভন্ডামী করে এখনো বহাল তবিয়তে আছে ওরা,
খাঁটি দেশপ্রেমিক যারা রাজাকারদের এখন স্যার ডাকে তারা।
ওরে জালিম, ওরে অত্যাচারী, ওরে দেশদ্রোহী, বর্বর, নরপিশাচ,
গণহত্যা, গণধর্ষন করে এখনো যে এই দেশে আছিস, বল আর কী চাস?


ঘৃণা করি ওরে কাপুরুষ ছদ্মবেশী পাকি দোসর রাজাকার,
অনেক ক্ষতি করেছিস দেশের আর নয়, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়;
সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই-
“সকল সেক্টরের সকল পদ হতে অবিলম্বে রাজাকারদের প্রেতাত্মার অপসারণ চাই।”


দেশপ্রেমী জনতা ও মুক্তিযোদ্ধারাই এদেশের দুর্দিনের ত্রাতা,
পাকিস্তানের দালাল যারা সত্যিই আমাদের নয় তারা ভ্রাতা।
স্বাধীন দেশের নাগরিক মোরা দেশপ্রেমিক সাচ্চা,
সময় থাকিতে হও হুঁশিয়ার বেঈমান রাজাকারের বাচ্চা।


***************
রচনাকালঃ ১১/০৭/২০২০, কুমিল্লা।