প্রতীক্ষায়- সমীর প্রামাণিক (অম্বরীষ কবি)
উৎসবে আনন্দে অনেকটা সময়;
বিলাপ করে করে আরও!    
হাজার অভাব মাঝে, অভাব কাজের  
শুধু শুধু খুঁজে ফিরি, কাজ খোঁজাটাও  
হন্যে হই মাথাকুটে! নিষ্ফল! বেকার!    
অপেক্ষায় স্বপ্নসুখে দিন-মাস-বছরও
বসে থাকি; চেয়ে থাকি তোমার আশায়    
আবার এসো মা, যেমন আসো; পরেরবারও  
ভুলে থাকি তোমায় নিয়ে; আমার কঠিন দুঃসময়      
আনন্দে...বিলাপে...দীর্ঘ করি সুখ, তোমার ছোঁয়ায়


আলোচনা:-
কবিতার উপস্থাপনার চেয়েও ভাবনা বেশি চমৎকার ।


আগেও বলেছি আবার বলছি , মা দূর্গা প্রতি বছর শুধু একবার নয়, সারাটি বছর পরোক্ষভাবে আমাদের অনেককে অন্নদান করে চলেছেন নানানভাবে। কুমোরটুলির শিল্পী থেকে শুরু করে প্যান্ডেলের চমৎকারিত্বে অভিনবত্ব এনেছেন বুদ্ধিজীবী ইঞ্জিনিয়ার রা যা এনে দিচ্ছে তাদের জীবিকা নির্বাহ। সেই অভূতপূর্ব শিল্প দিন দশেক পরে ভেঙে ফেলা হয় কেন জানেন ? যাতে করে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ জড়িয়ে পড়তে পারেন এই মা দুর্গাকে স্বরণ করে। সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে সেটা হলো কলকাতার দুর্গাপুজোতে হিন্দু, মুসলমান , ক্রিচিয়ান , শিখ প্রতিটি সম্প্রদায়ের লোকেরা ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভাতৃত্বের বন্ধনে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। এ সবই ঈশ্বরের খেলা!!
আসছে বছর আবার এস
                    নতুন রূপে মোদের প্রাণে ,
তোমায় নতুন করে করবো বরণ
                    শরতের ওই নতুন গানে ।
কাটবে বছর সুখে দুখে
                    থেকো মনের মাঝে ,
সকল বাঁধা পেরিয়ে যাবো
                    নিত্য দিনের কাজে ।
ঢেকে দিয়ো মা জননী
                   না-পাওয়াদের ক্ষতব্যথা ,
মুছিয়ে দিয়ো তাদের আঘাত
                   মনে কষ্টের গভীরতা ।


কবি বলছেন ....


"না, না, আর নয়! এবার উঠতে হয়
জমা কাজ জমে গেছে আরও  
চলো কাজে লেগে পড়ি ফের,    
কর্মহীন এমন করে! কাঁহাতক পারো! "


আসুন আমরা আবার নতুন উদ্দোমে লেগে পড়ি কাজে আর নিপীড়িত ও দরিদ্র যারা তাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করি। কবির কবিতায় আমার উপলব্ধি হয়তো কবির ভাবনার সঙ্গে  নাও মিলতে পারে তবে এ আমার অন্তরের কথা কবির কবিতাটি পড়ে।


তাই প্রার্থনা করি ওগো মা দূর্গা .....


ভুলে যেওনা মা দূর্গা তাদের কথা
জীবনে যাদের খালি ক্ষত আর ব্যথা ?
স্নেহভরে দাও তাদের পরিয়ে বসন ,
মুছিয়ে দাও তুমি তাদের জলভরা নয়ন
তুমি মহাবিশ্বের মা!
নিস্পন্দ থেকোনা তুমি শামিয়ানার নীচে।
সুপ্রিম পাওয়ারের কাছে তুমি পরাভূত হবেনা জানি।
পৌনঃপুনিক অপশক্তির দ্বারা
মানবজাতির রক্ত দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে জগৎ।
তাই আধ্যাত্বিক মূল্য সরে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে ,
বিশ্বাস হয়ে যাচ্ছে রোগাক্রান্ত ও মৃত।


আমাদের আশীর্বাদ করো যেন তোমার ওপর আমরা বিশ্বাস না হারাই ওগো মা দূর্গা ।


আমার ভ্রাতৃতুল্য ও আসরের অত্যন্ত প্রিয় কবি সমীর প্রামানিক কে জানাই আমার মনের গভীরতা থেকে সেলাম অত্যন্ত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেবার জন্যে।


আসরের আর সবাইকার জন্যে রইলো আমার গভীর ভালোবাসা।